৬ বছর পর জানা গেল মায়ের প’রকীয়ার বলি শিশু, বেরিয়ে এলো লোমহর্ষক খু নের বর্ননা

| আপডেট :  ৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৪১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৪১ অপরাহ্ণ

২০১৫ সালে মায়ের পরকীয়ার বলি হয়ে শি’শু শিহাব (৮) হ’’ত্যার মোটিভ ও ক্লু উ’দ্ধার করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রায় ৬ বছর পর পুলিশ, ডি’বি পুলিশ ও সিআইডির হাত ঘুরে ঝিনাইদহ পিবিআই মা’মলাটির র’হস্যের জট খুলতে সক্ষম হলো।

সেই সাথে আ’সামিদের গ্রে’ফতারের পর আ’দালতে তাদের স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি নেয়া ও সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণও সন্নিবেশিত করা হয়েছে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খু’নের র’হস্য উন্মোচনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান।

পিবিআই সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজে’লার কুতুবপুর গ্রামের প্রবাসী তোয়াজ উদ্দীনের শি’শু স’ন্তান শিহাব (৮) নি’খোঁজ হয়। নি’খোঁজের দুই দিন পর ৩০ অক্টোবর শিহাবের লা’শ পাওয়া যায় পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের ওসমান আলীর জমিতে। এ ঘটনায় নি’হতর মা বিলকিস খাতুন তার পরকীয়া প্রেমিক জমির উদ্দীন পিন্টুর ইন্ধনে ৬ জনকে আ’সামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মা’মলা দায়ের করেন।

মা’মলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ত’দন্ত করে চুয়াডাঙ্গা ডি’বি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সর্বশেষ পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে মা’মলাটি সিআইডি ত’দন্ত করে হ’’ত্যার প্রধান আ’সামি লাল্টুকে বাদ দিয়ে আ’দালতে নি’হত’র চাচাতো ভগ্নিপতি ঘা’তক পিন্টুকে আ’সামি করে ক্রটিপুর্ন ও দায়সারা চার্জসীট প্রদান করে। পরকীয়া প্রেমিককে রক্ষা করতে চার্জসীটের বি’রুদ্ধে আ’দালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন বা’দী বিলকিস খাতুন। আর এতেই কপাল পোড়ে পিন্টুসহ অন্যান্য আ’সামিদের।

চুয়াডাঙ্গার একটি আ’দালত মা’মলাটি নতুন ভাবে ত’দন্তের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দেন চুয়াডাঙ্গার আ’দালত। ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই তহিদুল ইসলাম মা’মলাটির ত’দন্তভার নিয়ে হ’’ত্যার মোটিভ ও ক্লু উ’দ্ধারের পর প্রধান আ’সামি ও তার সহায়তাকারীদের গ্রে’ফতার করতে সক্ষম হন। এরপর দায় স্বীকার করে আ’দালতে স্বেচ্ছায় স্বী’কারোক্তিমুলক জ’বানব’ন্দি দেন আ’সামি লাল্টু ও নয়ন।

মা’মলার সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শিহাব বাড়ির পাশে ইমরানের দোকানে মিষ্টি কিনতে যায়। ফেরার পথে আ’সামি নয়ন শিহাবকে তার চাচাতো ভগ্নিপতি জমির উদ্দীন পিন্টুর কাছে নিয়ে যায়। সাবেক চ’রমপন্থী ক্যাডার পিন্টু নয়নকে ৫০০ টাকা দিয়ে শিহাবের বি’ষয়ে কাউকে কিছু না জানাতে শাসিয়ে দেয়। এরপর, পিন্টুর ঘরে শিহাবকে আ’টকে রেখে অ’পহরণকারী চ’ক্রটি গ্রামে নি’খোঁজ বিজ্ঞপ্তি মাইকিং করে। কুতুবপুর গ্রামের শ্রী অসিত কুমারের ভ্যানযোগে কলম ও শাহাবুদ্দীন এ প্রচার কাজে অংশ নেয়।

পরিকল্পনা মাফিক রাতে আ’সামি লাল্টু অ’পহৃত শি’শু শিহাবের মালয়েশিয়া প্রবাসী বাবা তোয়াজ উদ্দীনের কাছে মুক্তপণ দাবী করার পরিকল্পনা নেয়। এ সব দেখে শিহাব কা’ন্নাকাটি শুরু করলে শিহাবের কানে জো’রে থাপ্পড় মারে আ’সামি লাল্টু। এতেই জ্ঞান হারিয়ে ফে’লে শিহাব। চাচাতো ভগ্নিপতি পিন্টুর ঘরের মধ্যে শি’শু শিহাবকে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যার পর অসিতের ভ্যান যোগে লা’শ শিবপুর গ্রামের মাঠে ফে’লে আসে তারা। লা’শ টানার কাজে ব্যবহৃত ভ্যানটিও পিবিআই উ’দ্ধার করেছে।

ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই তহিদুল ইসলাম জানান, মূলত মায়ের সাথে পিন্টুর অ’নৈতিক কাজ দেখে ফেলা ও পরবর্তীতে শিহাবের প্রবাসী বাবার কাছ থেকে মু’ক্তিপণ আদা’য়ের জন্যই অ’পহরণ ও হ’’ত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে চ’ক্রটি। এর আগে, এ মা’মলার মূল আ’সামি লাল্টুকে বাদ দিয়েই আ’দালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পিবিআইয়ের ত’দন্তে এজাহারের বাইরে আরও তিনজন আ’সামির সন্ধান মেলে।

এসআই তহিদুল জানান, মা’মলাটির ত’দন্তভার গ্রহণের পর প্রধান আ’সামি শিবপুর গ্রামের লাল্টুকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজে’লার সমোশপুর গ্রাম থেকে গ্রে’ফতার করা হয়। তার স্বী’কারোক্তি মোতাবেক কুতুবপুর গ্রাম থেকে জমির উদ্দীন পিন্টু ও অসিত দাসকে গ্রে’ফতার করা হয়।