নৌকার বিরুদ্ধে স্টাটাস দিলেই ক্রসফায়ার করবেন রাব্বি!

| আপডেট :  ৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনির কর্মী রিয়াজ উদ্দিন মাঝিকে ক্রসফায়ারসহ হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে রিয়াজের মোবাইল ফোনে রাব্বি কল দেন। ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের কল রেকর্ডিংটি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।তবে প্রতিটি কথার আগে ও পরে রাব্বি খারাপ ভাষায় রিয়াজকে গালমন্দ করেন।

কল রেকর্ডিংয়ে রিয়াজকে হুমকি দিয়ে রাব্বি বলে, ‘এই মিজি নিরে। মিজি, যদি আর একটা স্ট্যাটাস দেস নৌকার বিরুদ্ধে তাহলে তোরে বাড়িত তন (বাড়ি থেকে) ধরি আনি (এনে) ক্রসফায়ার করিয়াম (করব)। নৌকার বিরুদ্ধে কোনো স্ট্যাটাস দিলে ডাইরেক্ট আঁকি হালাইয়াম (ফেলব) তুই যিয়ানেই (যেখানেই) থাস (থাকিস)। তুই বাড়িত নি হেডা +সেটা) ক (বল)।তুই নৌকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিবিতো, তুই মহানগর যুবলীগ করসতো, যুবলীগের নাম বেচস কেন? তুই বিএনপির লগে লিয়াজু করে আওয়ামী লীগের পেস্টুন ভাঙস, এগিন মাইনসে জানে না। বিএনপির লগে লিয়াজু করে যুবলীগের নাম বেচস (বিক্রি করিস)। মারি (মেরে) হালাইয়াম, ডাইরেক্ট মারি হালাইয়াম। তোর বাবা হালিম মাস্টাররে হবে ওয়াপদা অফিসে নাম ধরি কইছি’।

রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজি বলেন, কল পেয়ে আমি রাব্বিকে সালাম দিয়েছি। কিন্তু রাব্বি শুরু থেকেই আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলে। প্রতিটি বাক্যে তিনি আমাকে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছেন। আমাকে ক্রসফায়ার দেবে, মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছেন। নিজের জীবনের নিরাপত্তায় আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করব। আমি নৌকার বিরুদ্ধেও কোনো স্ট্যাটাস দিইনি।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল্লাহ আল মামুন রাব্বি বলেন, হুমকিতো দূরের কথা আমি কাউকে কল দিই নাই। আর কেনইবা হুমকি দেব। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কল রেকর্ডিং আমার না। আমার মোবাইল থেকে অন্য কেউও রিয়াজকে কল দেয়নি। রিয়াজ মামলা করুক, সমস্যা নেই।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। এখনো কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ভবনীগঞ্জসহ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রনি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া আরো ৭ জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম মাস্টার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ডালি, মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মোসলেহ উদ্দিন নিজামের স্ত্রী মমতাজ বেগম, বিএনপিপন্থী শাহ মোহাম্মদ এমরান ও জাহাঙ্গীর হোসেন। ৬ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন।

তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ