‘বেদের মেয়ে জোসনা’ অঞ্জু ঘোষের জীবন কাটছে বাগান দেখাশোনা করে

| আপডেট :  ৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:২৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:২৫ অপরাহ্ণ

নব্বইয়ের দশকে সুপারডুপার হিট ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র পর আরও কয়েকটি ছবিতে তাকে পাওয়া গিয়েছিল। তবে ২৩ বছর আগে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে তিনি পাকাপাকি চলে যান কলকাতায়। এরপর দেশের সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ নেই। মাঝে কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঢাকায় পা রাখেন।

জানা যায়, বিখ্যাত এ নায়িকা এখন থাকেন কলকাতার সল্টলেকে, ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই। কীভাবে কাটছে তার দিন, কেনই বা বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছেন—এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরই অজানা। এদিকে, ভারতীয় পত্রিকার বরাতে জানা যায়, বেশ অবসর সময় কাটাচ্ছেন একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা।

জানান, সল্টলেকের বাড়িতে বাগান পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। অঞ্জু ঘোষের ভাষ্য, ‘প্রয়োজন থাকলে মাঝে মধ্যে বাইরে যেতে হয়। তবে আমার কখনও মনে হয় না যে সময় কাটছে না। একটা বাড়ি দেখাশোনা করা, পরিষ্কার রাখাটাও অনেক সময়ের কাজ। এসব করছি। রান্নাবান্না করি। অনেক বেশি সময় কাটাই বাগানেই।’

অঞ্জু ঘোষের আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ। জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। যদিও বছর দুই আগে তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল কলকাতায়। ভারতীয় দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও নরেন্দ্র মোদির দলের দাবি ছিল, অঞ্জু ঘোষ বাংলাদেশে বড় হলেও তার জন্ম কলকাতাতেই।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গান গাইতেন তিনি। ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেন নাটকে। চট্টগ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময়ে তিনি শুরু করেন অভিনয়। ১৯৮২ সালে এফ কবির চৌধুরীর ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি পা রাখেন চলচ্চিত্র জগতে। ১৯৮৯ সালে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ মুক্তি পেলে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান অঞ্জু ঘোষ।

এপার বাংলা ও ওপার বাংলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি সিনেমায় কাজ করেছেন অঞ্জু ঘোষ। গুঞ্জন আছে, অভিমান করেই বাংলাদেশ থেকে চলে গেছেন তিনি। কার ওপরে এত অভিমান—সেটা জানতে চাইলেও একাধিকবার তা এড়িয়ে গেছেন। শুধু বলেছেন, ‘এসব নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।’