সব
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সর্বশেষ আসরে সাকিব আল হাসান খেলেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আর মুস্তাফিজুর রহমান খেলেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। তবে আগামী আসরের আগে তাদের ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা ও রাজস্থান। আগামী আসরে প্রতিটি দলই ঢেলে সাজানো হবে।
নিলামের আগে প্রত্যেক দলের সুযোগ ছিল ৪ জন করে পুরনো খেলোয়াড় ধরে রাখার। কলকাতা যাদের ধরে রেখেছে তাদের মধ্যে নেই সাকিবের নাম। তেমনি মুস্তাফিজকেও ধরে রাখেনি রাজস্থান। দুই দলের কেউই তাদের নিজেদের দলে রাখতে আগ্রহী নয়। কলকাতা আন্দ্রে রাসেল, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনকে দলে রেখেছে।
অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন,জস বাটলার এবং জয়েসওয়ালকে নিজেদের দলে রেখেছে। এতে আগামী আইপিএলের নিলামে উঠবে সাকিব-মোস্তাফিজ। সেখানে কোন ফ্রাঞ্চাইজি যদি আগ্রহ দেখায়, তবেই পরবর্তী আইপিএলে খেলা হবে তাদের।
সাকিব বর্তমানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তাই তাকে যেকোন ফ্রাঞ্চাইজি কিনতে চাইবে। ২০১১ থেকে আইপিএলে খেলা অলরাউন্ডার সাকিব এখনও পর্যন্ত দুটি দলের হয়ে খেলেছেন। মোট ৭১টি ম্যাচ খেলেছেন আপাতত। রান সংখ্যা প্রায় ৮০০ এর কাছাকাছি। উইকেট নিয়েছেন ৬৩ টি।
অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে তিন দলের হয়ে খেলেছেন। মোট ৩৮ ম্যাচে ৩৮ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে, বাংলাদেশের কাটার মাষ্টারকে টানতে পারেন সাকিবের সাবেক ক্লাব কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্যাট কামিন্স কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের প্রধান পেসার ছিলেন। ছিলেন নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন।
কেকেআর দুজনের মধ্যে সম্ভবত একজনকে রাখবে। সেক্ষেত্রে বাঁহাতি পেসার হিসেবে মোস্তাফিজুরকে নিতে পারে কেকেআর। ইডেনে খেলা হবে।বাংলাদেশি পেসারকে কলকাতার সমর্থন মিলবে সেটা নিশ্চিত। তাছাড়া কামিন্স বা ফার্গুসনের থেকে কিছুটা হলেও কম টাকায় পাওয়া যাবে মোস্তাফিজুরকে। ডেথ ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বল করতে পারেন তিনি।