ম্যাজিস্ট্রেট দেখে বরের পাশে বসলেন ভাবী, দৌড়ে পালালেন কাজী

| আপডেট :  ৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:০২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:০২ অপরাহ্ণ

বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক কাজীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায়। এসময় বরকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার অভিযান পরিচালনা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কাজী রেহান রেজা উপজেলার চেংমারী গ্রামের হুমায়ন রেজার ছেলে। তিনি উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কাজি হিসেবে কাজ করছিলেন। বর রুবেল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সেকেন্দার আলীর ছেলে।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণি ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয়। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে বরযাত্রী আসে। বিয়ের আসরে উপস্থিত বর। কনেও হাজির। দ্রুত বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে কাজী রেহান রেজা খসড়া লেখা শেষ করেছিলেন আগেই। এদিকে চলছিল বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া।

এ সময় হঠাৎ করে পুলিশসহ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরের পাশে কনে সেজে বসে পড়েন মেয়ের ভাবি। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন কাজী। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ইউএনও পরিমল কুমার সরকার বলেন, বাল্যবিয়ে পড়াতে আসায় কাজীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রুবেল ইসলামকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।