পাওনা টাকা চাওয়ায় স্কুলে আ’টকে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধ’ র্ষণ করেন নৈশপ্রহরী

| আপডেট :  ১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১৯ অপরাহ্ণ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গৃ’হবধূকে (২০) গণধ”ণের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জ’ড়িত থাকার অ’ভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রে’ফতার করেছে।গ্রে’ফতাররা হলেন- উপজে’লার লঙ্গরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. কামরুজ্জামান (২৩), দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) এবং জামালপুরের দেউরপাড়া গ্রামের আব্দুল সেখের ছেলে আয়নাল হক (৫০)। আয়নাল হক উপজে’লার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধ”ণের শি’কার গৃ’হবধূ নিজেই বা’দী হয়ে গ্রে’ফতারদের বি’রুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মা’মলা করেন। পরে পুলিশ অ’ভিযান চা’লিয়ে তাদের গ্রে’ফতার করে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে উপজে’লার লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনে ধ”ণের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই গৃ’হবধূ উপজে’লার উত্তর খড়িয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আ’সামি কামরুজ্জামান গৃ’হবধূর কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই গৃ’হবধূ কামরুজ্জামানের কাছে পাওনা টাকা চান।

সোমবার সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার কথা বলে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী শফিকুল ইসলাম গৃ’হবধূকে লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গেলে নৈ’শপ্র’হরী আয়নাল হক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন এবং ওই দুই যুবকের পরামর্শ অনুযায়ী গৃ’হবধূকে বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে আ’টকে রাখেন। পরে রাত দশটার দিকে কামরুজ্জামান, শফিকুল ও নৈ’শপ্র’হরী আয়নাল জো’রপূর্বক ওই গৃ’হবধূকে গণধ”ণ করেন।

এক পর্যায়ে তারা ধ”ণের শি’কার গৃ’হবধূকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং এ ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হু’মকি দেন। পরে ভু’ক্তভোগী তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং অভিভাবকদের কাছে ধ”ণের ঘটনাটি জানান।

শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (ত’দন্ত) ও মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম বলেন, এ ঘটনায় ভু’ক্তভোগী গৃ’হবধূ নিজেই বা’দী হয়ে গ্রে’ফতার তিনজনের নামোল্লেখসহ অ’জ্ঞাতনামা আরো দুইজনকে আ’সামি করে নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন আইনে শ্রীবরদী থানায় মা’মলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ত’দন্তে ধ”ণের সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য ভু’ক্তভোগী গৃ’হবধূকে জে’লা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।