নাসিরের মা’মলায় ট্রাইব্যুনালে পরীমনি

| আপডেট :  ১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মা’রধর, বিভিন্ন ধরনের হু’মকি ও যৌ’ন হ’য়রানির অ’ভিযোগে করা মা’মলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েদ উদ্দিনের আ’দালতে এ মা’মলার অ’ভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি হবে।

শুনানির আগে সকাল ১০টার দিকে পরীমনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন। চিত্রনায়িকা পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী জাগো নিউজকে বলেন, আজ বুধবার সকাল ১০টায় পরীমনি ট্রা’ইবুনালে এসেছেন। এদিন অ’ভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে আ’সামিরাও আ’দালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এ মা’মলায় শহিদুল আলম নামে এক আ’সামি প’লাতক রয়েছেন।

এর আগে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে চার্জশিট জমা দেন। এর আগে গত ১৪ জুন ধ”ণ-হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অ’জ্ঞাত আ’সামি করে পরীমনি সাভার থানায় মা’মলা করেন। এরপর বি’ষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ। পরীমনির মা’মলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে গ্রে’ফতার করা হয়।

মা’মলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে।

‘অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করান। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো।’

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবা’দী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন ও কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বি’ষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আ’সামি ম’দপানের জন্য জো’র করেন। আমি ম’দপান করতে না চাইলে এক নম্বর আ’সামি জো’র করে আমার মুখে ম’দের বোতল প্রবেশ করিয়ে ম’দ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আ’ঘাত পাই।’

‘এক নম্বর আ’সামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গা’লিগা’লাজ করেন ও আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং আমাকে জো’র করে ধ”ণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও ম’দের বোতল ভা’ঙচুর করে আমার গায়ে ছু’ড়ে মা’রেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বা’ধা দিতে গেলে তাকেও মা’রধর করে জ’খম করেন।’

এজাহারে পরীমনি বলেন, ‘আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফে’লে দেওয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আ’সামিসহ অ’জ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আ’সামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করেন। আমি অ’জ্ঞাতনামা আ’সামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো।’

এজাহারে তিনি আরও বলেন, ‘দুই নম্বর আ’সামি অমি পরিকল্পিতভাবে আমাকে বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যান। তিনি অ’জ্ঞাতনামা চারজন আ’সামি ও নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে ও জো’রপূর্বক আমাকে ধ”ণের চেষ্টা করে। আমি আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধ’র্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত আনুমানিক ৩টায় আমি আমার গাড়িতে প্রায় অ’চেতন অবস্থায় অপর সঙ্গীদের সহায়তায় বাসায় ফিরে আসি।