সব
নরসিংদীতে ইউপি নির্বাচনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ধা’ওয়া-পাল্টাধা’ওয়া ও সং’ঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের কমপক্ষে ২০ জন গু’লিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আ’হত হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্র দ’খলের কারণে কালাইগোবিন্দপুর কেন্দ্রে ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
আজ রোববার নরসিংদীর চরাঞ্চল করিমপুর, নজরপুরের দিলারপুর, কালাই গোবিন্দপুর, শীলমান্দি ও আম’দিয়ায় এসব ঘটনা ঘটে। পরে আ’হতদের উ’দ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে অবস্থার অ’বনতি হলে পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। দুপুর ১২টার দিকে নজরপুর ইউনিয়নের দিলাপুর কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধা’ওয়া-পাল্টাধা’ওয়া ও সং’ঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বেশ কয়েকরাউন্ড গু’লি ও ক’কটেল বি’স্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের প্রিজাইটিং কর্মকর্তা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
অন্যদিকে, দুপুর ১টার দিকে করিমপুর ১ নম্বর কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দ’খলের চেষ্টা চা’লায়। ওই সময় নৌকার সমর্থকরা বা’ধা দিতে গেলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধা’ওয়া-পাল্টাধা’ওয়া ও সং’ঘর্ষ হয়। তারা এলোপাতাড়ি গু’লিবর্ষণ শুরু করে। এতে কমপক্ষে ২০ জন গু’লিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক লোক আ’হত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় গু’লিবিদ্ধ পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, দুর্গম চরাঞ্চল কালাই গোবিন্দপুরে দেশীয় অ’স্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দ’খল করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ভোটগ্রহণ শুরু করে। এছাড়া আম’দিয়া, শীলমান্দি ও চিনিশপুরে কেন্দ্রের বাহিরে ক’কটেল বি’স্ফোরণ ঘটানো হয়।
এদিকে, জাল ভোট, কেন্দ্র দ’খল ও হ’’ত্যার হু’মকির অ’ভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্দ্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ভূইয়া রিপন।
