পিছিয়ে গেলো আবরার হ’ত্যা মা’মলার রায়

| আপডেট :  ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১২:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১২:২৬ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’’ত্যা মা’মলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আ’দালত। রোববার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। রোববার এ মা’মলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ ছিল। এজন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কা’রাগার থেকে ২২ আ’সামিকে আ’দালতেও হাজির করা হয়। তবে রায় প্রস্তুত নয় বলে বিচারক ঘোষণার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেন।

গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আ’সামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে প’লাতক তিন আ’সামিসহ ২৫ জনের সর্বোচ্চ শা’স্তি মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দাবি করেন।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিচারক আ’সামিদের বি’রুদ্ধে আনীত অ’ভিযোগ ও ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ পড়ে শোনান। এসময় বিচারক তাদের প্রশ্ন করেন, আপনারা দো’ষী না নির্দোষ? উত্তরে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আ’দালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এরপর আ’দালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর আ’দালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় অ’ভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আবেদন করে। এরপর আ’দালত আবেদন মঞ্জুর করে আ’সামিদের বি’রুদ্ধে পুনরায় অ’ভিযোগ গঠন করেন।

গত বছরের ৫ অক্টোবর এ মা’মলার বা’দী ও আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ আ’দালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মা’মলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ত’দন্তকারী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মা’মলার শেষ সাক্ষী হিসেবে আ’দালতে জ’বানব’ন্দি দেন। গত ৪ মার্চ ত’দন্তকারী কর্মকর্তার জেরার মধ্য দিয়ে এ মা’মলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এসময় আ’দালত আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ম’র্গে আবরারের ম’রদেহের ম’য়নাত’দন্ত হয়। নি’হত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বা’দী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বি’রুদ্ধে হ’’ত্যা মা’মলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দালতে ২৫ জনকে অ’ভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা ডি’বি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অ’ভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও ত’দন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রে’ফতার করা হয়। গ্রে’ফতারদের মধ্যে আ’দালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন আটজন।

গ্রে’ফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক স’রকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্ম’দ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মা’মলার তিন আ’সামি এখনো প’লাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আ’সামি।২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আ’সামিদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন। মা’মলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।