স্ত্রীর সামনেই ধা’রাল অ’স্ত্র দিয়ে কু’পিয়ে নিজের ২ শি’শুস’ন্তানকে মে’রে পু’লিশসহ ৫ জনকে খু ন

| আপডেট :  ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৯:২২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৯:২২ অপরাহ্ণ

বাকরুদ্ধ খোয়াইবাসী। স্থানীয় লালটিলা শেওড়াতলির উত্তর রামচন্দ্রঘাট এলাকার মানুষ শিউরে উঠছেন শাবল নিয়ে একের পর এক জনকে খুঁ’চিয়ে খু’নের মুহূর্তটি মনে করে। নৃ’শংস এই ঘটনায় ত্রিপুরা পু’লিশের এক কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচজন খু’ন হয়েছেন। মৃ’তদের মধ্যে দুজন শি’শু।

এমনিতেই পুর ও নগর পঞ্চায়েত ভোটের রাজনৈতিক হা’মলায় সন্ত্রস্ত পুরো রাজ্য। এই ভোট স’ন্ত্রাস, অ’ভিযোগ ও বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে খোয়াই জে’লার উত্তর রামচন্দ্রঘাটে পরপর খু’নের ঘটনা আরো ভ’য় ছড়িয়ে দিয়েছে। আগরতলার সংবাদ মাধ্যমের দাবি, এলাকার প্রদীপ দেবরায় ওরফে কুট্টি ‘মা’নসিক ভা’রসাম্যহীন’। তিনিই খু’ন করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত কদিন ধরেই বিকারগ্রস্ত প্রদীপ চুপচা’প ছিল। কারোর সাথে কথাবার্তা বলত না। শুক্রবার রাতে হঠাৎ উ’ত্তেজিত হয়ে ওঠে। শাবল নিয়ে হা’মলা শুরু করে। তাকে থামাতে গিয়ে মা’রাত্মক জ’খম হন খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক। আ’ক্রমণকারী প্রদীপ শাবল দিয়ে তার দুই স’ন্তানকে খু’ন করে।

শা’বল দিয়ে স্ত্রী মীনা পাল দেবরায় ও দুই ক’ন্যাকে জ’খম করে প্রদীপ। এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ঘরে গিয়ে হা’মলা করে। যারা বেরিয়ে আসেন তাদের ও’পর হা’মলা করে প্রদীপ। উ’ত্তেজিত প্রদীপ যাকে সামনে পায় তাকেই শা’বল দিয়ে আ’ঘাত করছিল বলে জানান উত্তর রামচন্দ্রঘাট বাসিন্দারা। আচমকা একটি অটোতে হা’মলা চা’লায়। অটোতে থাকা কৃষ্ণ দাস ও তার ছে’লে করণবীর দাসকে জ’খম করে।

ঘটনাস্থলেই কৃষ্ণ দাসের মৃ’ত্যু হয়। ঘটনাস্থলেই আরো কজন র’ক্তাক্ত ও মা’রাত্মক জ’খম হন। রাতেই খোয়াই থেকে আগরতলার জিবি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল সত্যজিত মল্লিককে। সেখানেই তাঁর মৃ’ত্যু হয়। হা’মলাকারী প্রদীপ দেবরায়ের দুই কন্যা, তার ভাই ও একজনের মৃ’ত্যু হয়েছে। সূত্র : কলকাতা ২৪