বিএনপির মান্নানের পথেই জাহাঙ্গীর

| আপডেট :  ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৪৪ অপরাহ্ণ

দুজনই বিপুল ভোটে গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। প্রথম নির্বাচনে বিএনপির অধ্যাপক এম এ মান্নান। অপরজন দ্বিতীয়জন আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০১৩ সালের ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এক লাখ চার হাজার ভোটে আওয়ামী লীগের আজমতউল্লা খানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৮ আগষ্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক মান্নান।

দায়িত্ব পালনের ১৮ মাসের মাথায় জয়দেবপুর থানার একটি গাড়ি পোড়ানোর মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে একে একে তার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা হয়। গ্রেপ্তারের পর ৮ মার্চ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ। একটি মামলায় চার্জশিট গৃহিত হওয়ার পর ওই বছরের ১৯ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়। দুইবার জামিনে মুক্ত হলেও মামলায় তাকে আবারো জেলে যেতে হয়। সব মিলিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন মাত্র আড়াই বছরের মত।

প্রথম মেয়র অধ্যাপক মান্নানের মত একই পরিণতি হলো দ্বিতীয় মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমেরও। একই ভাবে মেয়াদ পূর্তির আগেই সাময়িক বরখাস্ত হয়ে মান্নানের পথে ডুবল তাঁর মেয়র পদ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গত ১৯ আগস্ট তাকে মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ৩ বছর ২ মাস ২১ দিন। তাঁর সাময়িক বরখাস্তের পর আবারো ভারপ্রাপ্ত মেয়র হলেন আসাদুর রহমান কিরণ। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেলেন।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে হারান বিএনপির প্রার্থী আসান উদ্দীন সরকারকে। ৫ সেপ্টেম্বর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় জাহাঙ্গীর আলম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।