কারাগারে সাঈদীকে আদর-আপ্যায়নের কোনো মানে হয় না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

| আপডেট :  ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৪৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৪৩ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান গণপরিবহণে হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) কার্যকর করতে স’রকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নতুন খবর হচ্ছে, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো কু’খ্যাত রাজাকারের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে বছরের পর বছর কা’রাগারে রেখে ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

তিনি বলেন, সাঈদীর আরও ক’ঠোর শা’স্তি হওয়া উচিত ছিল। সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে, রিভিউ হতে পারে। আমি বলতে চাই, বি’ষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হওয়া উচিত। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে স’চিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

তিরি বলেন, আমি মুক্তিযো’দ্ধার স’ন্তান হিসেবে আমার অনুভূতির কথা বলবো। আমি স’রকার বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বলছি না। আমার অভিব্যক্তি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো একটা কু’খ্যাত রাজাকার, যু’দ্ধকালীন সময়ে তার যে ইতিহাস সেটা সবাই জানি, যিনি একের পর এক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল ঘটনা ঘটনোর জন্য দায়ী। তাদের সমর্থকেরা জামায়াতে ইসলাম, ছাত্রশিবির বা আরেকটা ভার্সন আছে হেফাজতে ইসলাম—সবাই না, সবার কথা বলছি না, উ’গ্রপন্থী যারা।

যখন সাঈদীর আন্তর্জাতিক অ’পরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, যখন সাজা হয়ে যাচ্ছে তখন তারা চাঁদের মধ্যে সাঈদীর ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় তুলে ফেললো। তার মানে কতবড় পুণ্যবান লোক, আলেম! এই সাঈদীর বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে এভাবে বছরের পর বছর কা’রাগারে রেখে, ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার মানেটা কী? এই জিনিসটাকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।

ডা. মুরাদ হাসান আরও বলেন, কোনো মুক্তিযু’দ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ, বীর মুক্তিযো’দ্ধা, মুক্তিযো’দ্ধাদের স’ন্তান এবং আমি বলব কিছু মানুষ ছাড়া যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তারা কেউই চায় না—এই রাজাকারটাকে এভাবে কা’রাগারে সুন্দরভাবে আদর-আপ্যায়ন করার কোনো মানে হয় না। এর বিচার হওয়া উচিত। আমি বলতে চাই, বি’ষয়টা নিয়ে স্বোচ্চার হওয়া উচিত। আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ আপনারাই সবচেয়ে বড় শক্তি। শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে যদি তাকান মিডিয়াতে যারা কাজ করেন, তাদের চেয়ে কেউ বেশি পাওয়ারফুল না।

বিচারের মাধ্যমে সাঈদী জে’লে আছেন। বিচার কি ঠিক হয়নি, তাহলে কীভাবে চ্যালেঞ্জ করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ না। আমি বলছি যে, তার যে অ’পরাধ সে অ’পরাধের মাত্রাটা মুক্তিযো’দ্ধাদের, মুক্তিযো’দ্ধার স’ন্তানদের, সাধারণ মানুষ যারা, দেশপ্রেমিক নিরীহ মানুষ তাদের এই বি’ষয়টা খুব ক’ষ্ট দেয়।

ক’ঠোর শা’স্তি বলতে কি সাঈদীর মৃ’ত্যুদ’ণ্ড চান? রিভিউ চাচ্ছেন? জানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা হতে পারে। আমার বড় ভাই বিচারপতি, হাইকোর্টের রিট পিটিশন বেঞ্চে আছেন। আমি ভাইয়ার সঙেগ্ কথা বলেছি, এটার আইনি প্রক্রিয়াটা কী হতে পারে। আইনমন্ত্রী মহোদয় এটার সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

বি’ষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলছি এজন্য যে, আসলে ইস্যুটা আমাদের জন্য একটা পীড়াদায়ক। অন্য কিছু না। আমি কোনো চ্যালেঞ্জ বা কোনো কিছু নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি। আমি বলতে চাচ্ছি যে, ইস্যুটা একটা পীড়াদায়ক ইস্যু।