মাকে দরজার বাইরে রেখে নাবালিকা মে’য়েকে পাশের কক্ষে ধ’ র্ষণ করেছিলেন ম্যারাডোনা!

| আপডেট :  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৫:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৫:৫৯ অপরাহ্ণ

আর দুইদিন পরেই আর্জেন্টাইন সাবেক তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রথম মৃ’ত্যুবার্ষিকী। কিন্তু এর আগেই তার বি’রুদ্ধে ধ”ণসহ অ’পহরন, নারী পা’চার ও জো’রপূর্বক কৃত্রিম স্ত’ন স্থাপনের মা’রাত্মক সব অ’ভিযোগ আনেন তার একসময়কার অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবী মাভিস আলভারেজ। আর্জেন্টাইন এই সাবেক কিংবদন্তির বিপক্ষে এর আগেও ধ”ণ নিয়ে কম অ’ভিযোগ আসেনি।

নানারকম অ’পরাধে জ’ড়িত থাকা ম্যারাডোনা বহুবার সমালোচনায় এসেছেন। কিন্তু এবারের সমালোচনা যেন ভিন্ন। মা’রা যাওয়ার পরেও তার বি’রুদ্ধে এমন গু’রুতর অ’ভিযোগ এনেছেন তারই একসময়কার বান্ধবী।সম্প্রতি মানব পা’চারের মা’মলায় আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের সামনে সাক্ষ্য দিতে ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি থেকে আর্জেন্টিনায় এসেছেন ম্যারাডোনার একসময়কার অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবী মাভিস আলভারেজ।

দেশটির গণমাধ্যম ‘ইনফোবে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২০০১ সালে একবার আমি ম্যারাডোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনায় আসি। এবার দ্বিতীয় দফায় এলাম। আমাকে বাক্সে ভরে সবার অগোচরে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে দিয়াগোর বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগিতা ও বিশেষ অনুমতিতে বুয়েনস এইরেসে আমি যেতে পারি।তারা গিয়ে উঠেন হাভানার এক হোটেলে। সেই হোটেলে মাভিসের মাও এসেছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে।

মাভিস আরও বলেন, ‘ম্যারাডোনা আমার মুখ চে’পে রেখেছিলেন, যাতে আমি চি’ৎকার না করতে পারি। আমি তাই কিছু বলতে পারিনি। এরপর আমাকে ধ”ণ করেন তিনি। সেদিন মা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানতেন, আমরা ওই হোটেলের কোন কক্ষে ছিলাম। কিন্তু ডিয়েগো কক্ষের দরজা খোলেননি।

আমার মা কেঁদে কেঁদে দরজায় কড়া নেড়েই যাচ্ছিলেন। তাও ডিয়েগো রাজি হননি। পরে ক্লান্ত হয়ে আমার মা চলে যান। কারণ, ম্যারাডোনা দরজা খুলছিল না। ‘২০ বছর আগের এই ঘটনা এতদিন পর সামনে আনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাভিসের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখু’ন, ফিদেল কাস্ত্রোও মা’রা গেছেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও মা’রা গেছেন।

আমার মেয়ের বয়স এখন ১৫ বছর। মনে হয়েছে, আমার মেয়ের বয়স এখন ঠিক তেমন, যে বয়সে আমার সঙ্গে ওসব হয়েছিল। আমি হোটেল থেকে বেরোতে পারতাম না, আমাকে আ’টকে রাখা হয়েছিল। আমাকে অ’পহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি কিছুই জানতাম না শহরটার ব্যাপারে।

সব সময় একজন বা দুজন আমাকে দেখে দেখে রাখত। ‘ম্যারাডোনা সম্পর্কে আরও অ’ভিযোগ এনে মাভিস বলেন, ‘ম্যারাডোনা কৃত্রিমভাবে আমার স্ত’ন প্রতিস্থাপন করাতে চেয়েছিলেন। আমি তখন নাবালিকা। তাই এ কাজ করতে হলে অভিভাবকের সম্মতির দরকার হয়। কিন্তু ম্যারাডোনা ওসবের ধার ধারেননি।

যে কারণে আর্জেন্টিনায় বেশি দিন থাকতে হয় আমাদের। ম্যারাডোনা ছোট স্ত’ন পছন্দ করতেন না। তাঁর বিশেষ আগ্রহেই এ কাজ করতে হয়। কিন্তু আমার শরীরে পর্যাপ্ত চামড়া না থাকার কারণে ম্যারাডোনার প্রত্যাশা অনুযায়ী স্ত’নের আকার দেওয়া সম্ভব হয়নি। ‘