সাজা তো আপনার হওয়া উচিত, সেই কিশোর গাড়িচালকের বাবাকে আদালত

| আপডেট :  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে রিকশা গুঁড়িয়ে দিয়ে পাঁচ মাসের শি’শুসহ তিন আরোহীকে আ’হত করার ঘটনায় গ্রে’ফতার কি’শোরকে গাজীপুরের টঙ্গী কি’শোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডে এ দুর্ঘ’টনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাই’রাল হয়। এ ঘটনায় মা’মলা হলে সেই কি’শোর চালককে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রে’ফতার করে পু’লিশ।

কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কি’শোরকে ঢাকার আ’দালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পু’লিশ। তার পক্ষে তার বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তারজে’ল হোসেন জামিন আবেদন করেন। শিক্ষানবিশ আইনজীবী হাসিবুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

বিচারক ওই কি’শোরকে দেখে বলেন, ওর তো গাড়ি চালানোর বয়স হয়নি। লাইসেন্স নাই। তার হাতে গাড়ি দিল কেন? ওর বাবা এত দায়িত্বহীন কেন?গাড়ি কার নামে নিবন্ধিত জানতে চাইলে ওই কি’শোর বলে, তার বাবার নামে গাড়ি।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন আক্তার বিচারককে বলেন, সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি, ৬ মাস আগে কেনা হয়েছে। তার বাবা সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। বিচারক তারজে’লের কাছে তার ছে’লের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে তিনি না সূচক জবাব দিয়ে বলেন, তার ছে’লে যে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিল, তা তিনি জানতেন না।

তখন বিচারক তাকে বলেন, সাজাতো আসলে আপনার হওয়া উচিত। ওই কি’শোরকে বিচারক বলেন, এখনো অনেক সময় পড়ে আছে। বড় হও, অনেক গাড়ি চালাতে পারবে।তুমি তো একজনের ছে’লে। যে শি’শুটাকে আ’হত করেছো সেও তো কারো না কারো ছে’লে। কত সময়, কত দিন পরে আছে, জীবনটা কী’ এতো ছোট!

শুনানি শেষে দুটি আবেদনই নাকচ করে গাজীপুরের টঙ্গী কি’শোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শি’শু আ’দালতের বিচারক আল-মামুন। শি’শু বিবেচনায় রি’মান্ড আবেদন নাকচ করার কথা জানালেও কি’শোর উন্নয়ন কেন্দ্রে দায়িত্বশীল কর্মক’র্তার উপস্থিতিতে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন বিচারক।

গত শুক্রবার বিকালে বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা প্রাইভেট’কারের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে যায় একটি রিকশা। এ সময় রিকশার যাত্রী ফখরুল হাসানের কোলে থাকা ছয় মাসের একটি শি’শু দূরে ছিট’কে পড়লে তার পা ভেঙে যায়। হাত ভেঙেছে ফখরুলেরও। এ ঘটনায় আ’হত হন রিকশাচালকও।

ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিডিও করা এক ব্যক্তির ক্যামেরায় ধ’রা পড়েছে দুর্ঘ’টনার ফুটেজ। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থা’নায় মা’মলা দায়ের করা হয়। মা’মলার পরে ওই কিমোরকে রোববার ভোরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পু’লিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দল চুয়াডাঙ্গা থেকে আ’ট’ক করে। তার গাড়িটিও হাতিরঝিল থেকে জ’ব্দ করা হয়।