দেশ ছাড়তে পারেন বহিষ্কৃত নেতা মেয়র জাহাঙ্গীর!

| আপডেট :  ২২ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ নভেম্বর ২০২১, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন ব’হিষ্কৃ’ত নেতা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বি’রুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি ও একটি রাষ্ট্রদ্রো’হ মা’মলার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছে নিজেকে রক্ষায় দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন জাহাঙ্গীর।

একটি সূত্র জানায়, গত ৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমের পাসপোর্ট জ’ব্দ করা হলেও সিঙ্গাপুরের সেকেন্ড হোমে যেতে চান তিনি। তবে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানায় একটি সূত্র। ওই সূত্র আরও জানায়, ও’পরের নির্দেশনা পেলেই জাহাঙ্গীরকে গ্রে’ফতার করা হবে। তাকে সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

মা’মলার বি’ষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেন, জাহাঙ্গীর যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুক্তিযো’দ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন, তার বি’রুদ্ধে মা’মলার প্রক্রিয়া চলছে।দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এ প্রসঙ্গে কিছু বলব না। দেশত্যাগের বি’ষয়ে আমি কিছু জানি না।

অন্যদিকে ‘জাহাঙ্গীর আলম পিবিআইয়ের হাতে গ্রে’ফতার!’ এমন খবরে রোববার সন্ধ্যার পর গাজীপুরের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেছেন। তবে এ বি’ষয়ে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, এমন কোনো খবর তার কাছে নেই। সম্পূর্ণ মি’থ্যা ও ভিত্তিহীন খবর। রোববার সন্ধ্যায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় আছি। এখনও গ্রে’ফতার হইনি। গ্রে’ফতার হলে মোবাইলে কথা বলছি কীভাবে।’

শুক্রবার আওয়ামী লীগের দলীয় সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে ব’হিষ্কারের পর গাজীপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের একাংশ তার গ্রে’ফতার ও মেয়র পদ থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিওতে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ মুক্তিযো’দ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোনার পর ব’হিষ্কারের পরও নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষো’ভের আ’গুন এখনও জ্ব’লছে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা তাকিয়ে রয়েছেন আইনের দিকে এবং স্থানীয় স’রকার ম’ন্ত্রণালয়ের দিকে। কোন প্রক্রিয়ায় তার বি’রুদ্ধে মা’মলার পর গ্রে’ফতার করা যেতে পারে বা কোন আইনে মেয়র পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে জাহাঙ্গীর আলমকে। স্থানীয় স’রকার ম’ন্ত্রণালয় বি’ষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে সূত্র জানায়।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাহাঙ্গীরকে কোনোভাবেই মেয়র পদে রাখা যাবে না। তাকে গ্রে’ফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি দাবি করেন তারা। কারণ মেয়র যে দলে থেকে নৌকার প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই প্রতীকের যিনি জনক সেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এবং মুক্তিযো’দ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ওই সূত্র জানায়, তাকে শিগগিরই গ্রে’ফতার করা উচিত।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রো’হসহ আরও একাধিক মা’মলার প্রস্তুতি নিচ্ছে গাজীপুরের ক্ষ’তিগ্রস্ত বাসিন্দারা। ক্ষ’তিপূরণ না দিয়ে রাস্তা নির্মাণের নামে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ভা’ঙচুর ও দ’খলের অ’ভিযোগে একাধিক মা’মলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তা বাড়ানোর নামে জাহাঙ্গীর সাধারণ মানুষের বসতঘর দ’খল করে নিয়েছেন। স্থানীয় স’রকার আইন অনুযায়ী কারও জমির ও’পর অধিক রাস্তা বাড়ানো হলে সিটি করপোরেশন ওই জমির মালিককে ক্ষ’তিপূরণ দেবে। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম হাজার হাজার একর জমি রাস্তার নামে জো’র করে বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর গুঁ’ড়িয়ে জমি দ’খল করে নিয়েছেন। কোনো ক্ষ’তিপূরণ দেননি।

অন্যদিকে ক’রোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে প্রকৌশলী দেলোয়ার হ’’ত্যা মা’মলার ত’দন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়েছে। ওই মা’মলার চার্জশিট উত্তরার তুরাগ থানা পুলিশ আ’দালতে দাখিল করলে নি’হত দেলোয়ারের স্ত্রী ওই চার্জশিটের বি’রুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন। নি’হতের স্ত্রীর দাবি, দেলোয়ার হ’’ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। পরে আ’দালত মা’মলাটি অধিকতর ত’দন্তের জন্য পিবিআইকে দেয়। দেলোয়ার হ’’ত্যার পর বরাবরই নি’হতের স্বজনরা বলছিলেন এই হ’’ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ধরাছোঁয়ার বাইরে।

নি’হত দেলোয়ারের ভাই ওই সময় দাবি করে আসছিলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে ঠিকাদারদের শত-কোটি টাকার ফাইল আ’টক রাখার কারণে দেলোয়ারের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের একাধিকবার কথাকা’টাকাটি হয়।