সব
একটা বিষয় মাথা থেকে কোনোভাবেই সরছে না, একটা প্যাথেটিক লুজার কীভাবে বাংলাদেশের মাটিতে বেড়ে উঠে তাঁর পূর্বের পেয়ারা পাকিস্তানিদের পেয়ার মোহাব্বত না ভুলতে পেরে, পাকিস্তানের জার্সি পরিধান করে তাদের সমর্থন করে যায়!
এর কাছে কী দেশ, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রাম, স্বাধীনতা এসবের কোনোই মূল্য নেই এই আজিব চিড়িয়া যে নিজ দেশের বিপক্ষে অবস্থানকারী পাকিস্তানকে সমর্থন করে, তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া গেলে মনে হয় যথোপযুক্ত হতো!
এমনিতে কোনায়, কানায় পাকিস্তানের সমর্থনকারীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় তথাপি নিজ দেশের বিপরীতে এরকম জ’ঘন্যভাবে হেসে পাকিস্তান সমর্থনকারী এই চিড়িয়ার মুখে এক দলা থু দিয়ে গেলাম!
লেখক: ইফতেখায়রুল ইসলাম, এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
ইউপি মেম্বার হয়েই শত কোটি টাকার মালিক রাসেল
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার নির্বাচিত হয়ে মাত্র ১০ বছরে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে রাসেল মিয়ার। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তিনি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাসেল এখন চলেন বিলাসবহুল গাড়িতে। তার আছে চোখ ধাঁধানো বাগানবাড়ি, যেখানে নিয়মিত বসান মদ ও জুয়ার আসর। ১৮টি ব্যাংক হিসাবে অন্তত ১০ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্যও মিলেছে। মালিক হয়েছেন ৬টি ইটভাটা ও ২টি ডকইয়ার্ডের। দুুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এসব তথ্য উত্থাপন করা হয়েছে। ১৩ ও ৩১ অক্টোবর দুদকে রাসেলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগের চিঠি জমা দিয়েছেন মোকাররম হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
সেখানে রাসেলের দুর্নীতি, জবরদখল ও অনিয়মের মাধ্যমে শতকোটি টাকার সম্পদ অর্জনের বিবরণ তুলে ধরে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মিয়া বলেন, ‘একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দুদকে দেওয়া অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
অভিযোগে বলা হয়, রাসেল মিয়া ছিলেন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। কিন্তু ২০১১ সালে এলাকার ইউপি সদস্য হওয়ার পর ভূমি জবরদখল ও জাল-জালিয়াতির কারবার শুরু করেন। আর এর মাধ্যমে বনে যান শতকোটি টাকার মালিক। সাধারণ মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, অন্যের জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে বিক্রি করা তার পেশা। আয়ের বৈধ তেমন কোনো উৎস না থাকলেও গত ১১ বছরে রাসেল বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ভাই হাবিবুর রহমান রানা ও মোস্তাক আহম্মদ রাজুকে সঙ্গে নিয়ে ভাই ভাই ব্রিকস নামে নিজ এলাকায় ৬টি ইটভাটা দিয়েছেন।
আরও আছে ভাই ভাই ডকইয়ার্ড ও রাসেল ট্রেডার্স নামে দুটি ডকইয়ার্ড। এর বাইরে প্রায় ৫০টি দলিলে অন্তত ১ হাজার শতাংশ জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এসব জমির রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ খরচ করেছেন অন্তত ১০ কোটি টাকা। পূবালী ব্যাংকের ধর্মগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শাখাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ১৮টি হিসাবে বাবা, ভাই ও রাসেলের নিজ নামে গচ্ছিত রয়েছে ১০ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করেছেন মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে। সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ার খবরও চাউর রয়েছে এলাকায় লোকমুখে।