মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব, সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে বন্ধ বাস

| আপডেট :  ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০৩:০৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০৩:০৭ অপরাহ্ণ

সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিল বহাল রাখার দাবিতে আজও বেশ কয়েকটি কোম্পানির বাস চালাচ্ছেন না শ্রমিকরা। রাজধানীতে কোনো সিটিং সার্ভিস থাকবে না, বাস চলবে না ওয়েবিলে। মালিক সমিতি এমন সিদ্ধান্ত নিলেও, বাস মালিকরা তা মানছেন না। এ নিয়ে পথে পথে যাত্রীদের সঙ্গে বাসচালক আর শ্রমিকদের বিরোধ বাধছে।মঙ্গলবার বিকেল থেকে হঠাৎ করেই মিরপুর এলাকায় বিভিন্ন রুটের বাস থেকে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেয় শ্রমিকরা।

যাত্রীদের দাবি, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকেও বেশি ভাড়া আদায় করছে শ্রমিকরা। আর শ্রমিকদের দাবি, যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া দিলেও, মালিকপক্ষ এখনও ওয়েবিলের নির্ধারিত বাড়তি ভাড়া হিসাব করে দিন শেষে টাকা চায়। এতে সারাদিন গাড়ি চালিয়েও দিন শেষে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বলে দাবি শ্রমিকদের।

এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। এরপর থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালক-মালিকরা। প্রতিবাদে টানা তিন দিন ধর্মঘট ডাকে পরিবহন সংগঠনগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সারা দেশের মানুষ। মালিক শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে সরকার বাসের বাড়া বর্ধিত করে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিবহণ মালিক সমিতির বৈঠকে বাস ভাড়া বাড়িয়ে দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা, মহানগরে ২ টাকা ১৫ পয়সা এবং মিনিবাসে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়। এর মাধ্যমে দূরপাল্লায় প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২৬ শতাংশ বা ৩৮ পয়সা এবং মহানগরে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ে। তবে সিএনজিচালিত বাসের জন্য বাড়তি ভাড়া প্রযোজ্য নয়।

এছাড়া, সর্বনিম্ন বাস ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর গণপরিবহন চলাচল শুরু হয় এবং বাসে নতুন ভাড়া কার্যকর করা হয়।