বিয়ের সাড়ে ৩ মাসেই সন্তানের জন্ম, নবজাতককে ধানক্ষেতে নিক্ষেপ!

| আপডেট :  ১৬ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৪৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৪৯ অপরাহ্ণ

ধানক্ষেত থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ন’বজাতকের মা-বাবার সন্ধান পেয়েছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার পুলিশ। শি’শুটিকে অ’মানবিকভাবে ফে’লে রাখা ও নি’ষ্ঠু’রতার দায়ে থানায় মা’মলা দা’য়েরের পর বাবা-মাকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। পুলিশের এসআই শফিউল আলম বা’দী হয়ে শি’শুর মা, বাবা, দাদী, নানীকে আ’সামি করে মোট চারজনের বি’রুদ্ধে ২০১৩ সালের শি’শু আইনের ৭০ ধারায় মা’মলাটি রুজু হয়।

শি’শুর বাবা আল মোমেন (২৪) ও মা জান্নাত আক্তার শিলাকে (১৯) গ্রে’ফতার করে থানা হেফাজতে রাখার বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ। ওসি জানান, আরও দুই আ’সামি মোমেনের মা শারমিন আক্তার (৫০) ও শিলার মা শিল্পী আক্তারকে (৪০) গ্রে’ফতারের চেষ্টা চলছে। গত ৭ নভেম্বর শি’শুটি জন্ম নিলে তারা শি’শুটিকে ধানক্ষেতে ফে’লে দেয়।

এর আগে গত জুলাই মাসের ২২ তারিখ গুগ গ্রামের মো. আব্দুল হকের ছেলে মোমেনের সাথে জালালপুর গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের আগেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু বিয়ের বয়স সাড়ে তিন মাস হতেই তারা বাবা-মা হয়ে পড়েন। লোকলজ্জায় জন্মের পরপরই শি’শুটিকে হাসপাতাল থেকে বের করে ধানক্ষেতে ফে’লে দেয়া হয়।

বিকালে আদমপুর এলাকায় খান এন্ড পন্ডিত স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধূলা করার সময় শি’শুরা পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে ওই ন’বজাতকটি উ’দ্ধার করে উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সমাজ সেবার উদ্যোগে কর্তব্যরত চিকিৎকরা ন’বজাতকটিকে চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে হাসপাতালেই রাখেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শি’শুটিকে দত্তক নিতে অনেকেই এগিয়ে আসেন। এদিকে এমন সামাজিক অ’পরাধ বন্ধে স্থানীয়রা সোচ্চার থাকায় পুলিশ হাসপাতালের রেজিষ্টার দেখে সেদিন কতজন স’ন্তান প্রসব করেছে এগুলো আমলে নিয়ে ত’দন্ত সাপেক্ষে মা-বাবার সন্ধান পায়। পরবর্তীতে সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তাদের বি’রুদ্ধে মা’মলা দা’য়ের করে অ’ভিযুক্তদের গ্রে’ফতার করা হয়।