কক্সবাজারে শ্যালিকার সহযোগিতায় ‘মস্তিস্ক হ্যাকিংয়ের’ অভিযোগে মামলা!

| আপডেট :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫৪ অপরাহ্ণ

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিংয়ের কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার নিজের মস্তিস্ক হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় হারুনুর রশিদ (৩২) নামের এক যুবক। এই অভিযোগে হারুন নিজেই থানায় জিডি করেছেন, একইসঙ্গে একটি মামলাও দায়ের করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালে।

মামলায় হারুন অভিযোগ করেন, হ্যাকাররা তার ব্যাংক হিসাব ক্লোন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে “মস্তিষ্ক থেকে সব স্মৃতি মুছে ফেলা”র হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাকে। হারুনের অভিযোগ, বছর তিনেক আগে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমানো অবস্থায় তার শ্যালিকার সহযোগিতায় হ্যাকার চক্রটি তাকে অচেতন করে তার মাথায় একটি ছোট ইলেকট্রিক যন্ত্র (কম্পিউটার ডিভাইস) বা নিউরো চিপ স্থাপন করে।

হারুনের দাবি, তার শ্যালিকা এক বন্ধুর সহযোগিতায় নিউরো চিপ স্থাপন করে তার মস্তিষ্ক হ্যাক করেছে এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ক্লোন করে প্রায় ২০ লাখের বেশি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।

হারুনের অভিযোগে মস্তিস্কে চিপ স্থাপনের ঘটনার পরদিন সে পরিচিত কণ্ঠের গায়েবি আওয়াজ শুনতে পায়। সেখানে তাকে গালাগাল করা হয়। এছাড়া এই ঘটনার পর তার ব্যবহৃত আইফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাবজিসহ ৫টি গেমস ডাউনলোড হয়ে যায়। এমনকি তার ফেসবুকও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

হারুন সাংবাকিকদের বলেন, “পরিচিত একজন আইটি বিশেষজ্ঞকে আমার আইফোনের বিচিত্র আচরণ ও ফেসবুকের ওপর আমার নিয়ন্ত্রণহীনতার বিষয়টি শেয়ার করলে তার পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাপল, গুগল এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তা পাঠাই। একপর্যায়ে নিশ্চিত হই অ্যাপল আইডি হ্যাক করে আমার ফোনের আইটিউনসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে হ্যাকাররা।”

হারুন জানান, থানায় জিডির পাশাপাশি ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন তিনি। প্রথমে ভুয়া ও হাস্যকর উল্লেখ করে মামলাটি নিতে চায়নি ট্রাইব্যুনাল। পরে তার কথা শোনার পর মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পর থেকে মস্তিষ্ক হ্যাকিংয়ের অভিযোগে আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে মস্তিষ্ক হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হতে এ সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।