কেমন আছে রাজীবের স্ত্রী-সন্তানরা ?

| আপডেট :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৩:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৩:২৭ অপরাহ্ণ

বাংলা চলচ্চিত্রের এক অনবদ্য খল অভিনেতার নাম রাজীব। অভিনয়গুণ তো ছিলোই, সঙ্গে ছিলো গম্ভীর ঝাঁজালো কণ্ঠ, রহস্যভরা চোখের চাহনি, বৈচিত্র্যময় অভিব্যক্তি। এইসব বৈশিষ্টের কারণেই রাজীব খল নায়ক হয়েও দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন পছন্দের তারকা। তার পুরো নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

২০০৪ সালে ৫২ বছর বয়সে এই অভিনেতা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার চিরবিদায়ের ১৫ বছর পার হলো আজ। তিনি প্রায় চার শতাধিক বাংলা চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। নিজেকে নিয়ে গেছেন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে। নিজ কর্মগুণেই ভক্তদের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তিনি। এখনও দর্শকদের কাছে রাজীবকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।

রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়। তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানা যায়, রাজীবের পরিবার তাকে নিয়ে গর্ব করে। সন্তানরাও গর্ব করে বাবাকে নিয়ে। কিন্তু সিনেমা নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই তাদের। চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগও নেই। সব রকমের আলোচনা ও প্রচারণা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান তারা।

রাজধানীর উত্তরায় থাকে রাজীবের পরিবার। রাজীবের স্ত্রী ইশমত আরা রাজীব। সংসার আর ধর্ম কর্মেই কেটে যায় তার দিন। ১৯৯৬ সালে নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যান অভিনেতা রাজীবের দুই ছেলে। রাজীব-ইশমত দম্পতির রয়েছে আরেক ছেলে ও দুই মেয়ে। রাজীবের বড় ছেলে দ্বীপ বিয়ে করেছেন। দ্বীপের ছোট দুই বোন রানিসা ও রাইসা। দুজনেই পড়াশোনা করছেন।

রাজীব ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর দুমকিতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেন। রাজীবের সিনেমায় অভিষেক হয় কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি চারবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১),বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০) ও সাহসী মানুষ চাই (২০০৩) ছবির জন্য ওই পুরস্কার পান তিনি।

রাজীব অভিনীত অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র হচ্ছে, হাঙর নদী গ্রেনেড, ভাত দে, ভণ্ড, দাঙ্গা, বিক্ষোভ, মীরজাফর, দেশদ্রোহী, ক্ষমা, জবরদখল, লুটতরাজ, মৃত্যুদণ্ড, মগের মুল্লুক, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, ত্রাস, উছিলা, মিয়া ভাই ।