যে সাজা অপেক্ষা করছে মডেল পিয়াসার জন্য

| আপডেট :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০১:৩১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০১:২৯ অপরাহ্ণ

মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মা’মলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বি’রুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অ’ভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অ’ভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বি’রুদ্ধে তিনটি মা’মলা বিচারের জন্য প্রস্তুত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আ’দালতে এসব মা’মলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সাক্ষ্য-প্রমাণে অ’ভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কা’রাদ’ণ্ড হতে পারে তার। পাশাপাশি অর্থদ’ণ্ড হতে পারে।

পিয়াসার বি’রুদ্ধে গুলশান থানায় করা মা’দক মা’মলার অ’ভিযোগপত্রে সিআইডি বলেছে, পিয়াসা মডেলিং পেশার আড়ালে নিয়মিত ক্লাবে যেতেন এবং ক্লাব থেকে টাকার বিনিময়ে নিয়মিত ম’দ সংগ্রহ করতেন। পরে এসব মা’দকদ্রব্য তিনি ক্লাব ও বাসায় বিভিন্ন পার্টিতে আসা লোকজনের কাছে বিক্রি করতেন। তবে পিয়াসা কোন ক্লাব থেকে, কার কাছ থেকে কিংবা কী ধরনের মা’দকদ্রব্য সংগ্রহ করেছিলেন, সে ব্যাপারে অ’ভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই।

খিলক্ষেত থানায় করা মা’দক মা’মলায় পিয়াসা এবং তার সহযোগী মাসুদুল ইসলামকে অ’ভিযোগপত্রভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভাটারা থানার মা’দক মা’মলায় পিয়াসা ও তার সযোগী শরিফুল হাসানকে আ’সামি করে সিআইডি। এ দুই মা’মলার অ’ভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শরিফুল হাসান ও মাসুদুল মা’দক ব্যবসায় জ’ড়িত। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা জ’ব্দ করা হয়েছে। তাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখেন পিয়াসা।

চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক অ’ভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সাজা হতে পারে- পিয়াসার বি’রুদ্ধে মা’দকদ্রব্য আইনের তিন মা’মলায় তিন ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ভাটারা থানার মা’মলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬(১) এর ১০(ক), ৩৮ ও ৪১ ধারায়। গুলশান ও ভাটারা থানার মা’মলায়ও প্রায় একই ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তার বি’রুদ্ধে।

৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, কারও কাছ থেকে জ’ব্দ মা’দকদ্রব্যের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে ওই ব্যক্তির কমপক্ষে এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কা’রাদ’ণ্ড ও অর্থদ’ণ্ড হবে। ৩৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে মা’দকদ্রব্য অ’পরাধ সংঘটনের জন্য তার মালিকানাধীন অথবা দ’খলি কোনো বাড়িঘর, জায়গা-জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, যন্ত্রপাতি অথবা সাজসরঞ্জাম কিংবা কোনো অর্থ অথবা সম্পদ ব্যবহার করতে অনুমতি দেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বছর কা’রাদ’ণ্ড ও অর্থদ’ণ্ডে দ’ণ্ডিত হবেন।

৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো মা’দকদ্রব্য অ’পরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে অথবা সাহায্য করলে অথবা কারও সঙ্গে ষ’ড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে অথবা এ উদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোগ অথবা চেষ্টা করলে মা’দকদ্রব্য অ’পরাধ সংঘটিত হোক বা না হোক, তিনি সংশ্লিষ্ট অ’পরাধের জন্য নির্ধারিত দ’ণ্ডের মতো দ’ণ্ড পাবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অ’ভিযান চা’লিয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আ’টক করে জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য ডি’বি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর তার বি’রুদ্ধে গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানায় মা’দক নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিন মা’মলা করে পুলিশ। এ মা’মলাগুলোতে তাকে রি’মান্ডে নেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা।