বিচ্ছেদের পর ফারিয়া: আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন

| আপডেট :  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ণ

২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। পরবর্তীতে সেই পরিচয় পরিণত হয় প্রেমের সম্পর্কে। প্রায় তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা এবং ২০১৯ এর পয়লা ফেব্রুয়ারি জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু আনুষ্ঠানিক বিয়ের ঠিক ১ বছর ৯ মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। গতকাল শুক্রবার বিচ্ছেদপত্রে সই করেন দুজন। আর এরপরই ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্টাটাস দিয়েছেন ফারিয়া।

ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে স্বরুপে ফিরে আসা এই অভিনয়শিল্পী লিখেছেন এই বিচ্ছেদকে ‘ক্রাইসিস’ নয়, ইতিবাচকভাবে হিসেবে দেখছেন তারা এবল বিয়েতে বিচ্ছেদ হলেও তাদের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসায় বিচ্ছেদ হয়নি।

বিচ্ছেদের কারন হিসেবে ফারিয়া বলেন, মূলত তাদের দু’জনপর তুলনায় তাদের দুই পরিবারের সমস্যা বেশি ছিলো। তারা অনেকভাবে চেষ্টা করেছিলেন যাতে সংসারটা টেকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি।

স্টাটাসে ফারিয়া বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সাবেক স্বামীর সাথে সম্পর্কে কোনো প্রকার তিক্ততা নেই তার। পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রেখে বিচ্ছেদের এই ধকল সামলাতে চেষ্টা করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু ভালোবাসা বা বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ হয়নি। যত দিন বেঁচে আছি, আমাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে।’

বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে। তাদের কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না। আমার মা সব সময় একটা কথা বলেন, “আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি!” ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দেখলাম, বিষয়টা একপর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়। “মানুষ কী বলবে” ভেবে নিজেদের ওপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা। “জীবনটা অনেক ছোট, এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কী দরকার?” ভেবে এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি, আমরা আর একসঙ্গে থেকে কষ্টে করতে চাই না। তবু পরস্পরকে বুঝতে বছরখানেক সময় নিয়েছি। ফাইনালি “আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন” ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গেছি। অপুর জন্যে দোয়া, ভালোবাসা আর শুভকামনা। যে সুখের জন্যে আমরা আলাদা হলাম, আমরা যেন সেই সুখ খুঁজে পাই, সবাই সেই দোয়া করবেন।’