বাগদান হলেও যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না ফারিয়া শাহরিন

| আপডেট :  ১১ নভেম্বর ২০২১, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ নভেম্বর ২০২১, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ

ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সেরেছেন এই সুন্দরী। তার হবু বরের নাম মুনিম মাহফুজ রিয়ান। তিনি একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা। বাগদানের পর ফেসবুক পোস্টে ফারিয়া শাহরিন জানান, ‘এরকম অনেককেই চিনি যারা বিয়ে করেও ক্যারিয়ারের জন্য সিঙ্গেল হয়ে আছেন। কিন্তু আমার পক্ষে এতো লুকোচুরি করা সম্ভব না। লাইফ তো একটাই ভাই, আর বিয়ে এনগেজমেন্ট এসব অনেক পবিত্র জিনিস। লুকিয়ে চুলে পাক ধরা পর্যন্ত সিঙ্গেল থাকা সম্ভব না।’

তার ভাষ্য, ‘ক্যারিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু ইচ্ছা ছিল ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে থাকবে তখনই করবো শুভ কাজটা, ক্যারিয়ার পড়ে যাওয়ার পর না। আমি কাপুরুষ নই, আমি সিংহী। অন্তরাকে যারা ভালোবেসেছিলেন, তার এনগেজমেন্ট দেখে কষ্ট পাচ্ছেন সেই অন্তরা বাস্তবজীবনে ফারিয়া আর ৮-১০ টা মেয়ের মতো না।’

এদিকে বাগদানের পর প্রায় ৯ মাস পার হতে চললেও এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি ফারিয়া শাহরিন। গতকাল (৯ নভেম্বর) ছিলো তার জন্মদিন। বিশেষ দিনটিতে গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ফারিয়া বলেন, ‘করোনার ভয়ে বিয়ে করতে পারছি না। তা ছাড়া আমি এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। বিয়েতে অনেক কাজ। অনেক মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে। দেখা যাবে আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে সবাই মাস্ক পরে ঘুরছে, আমাকেও মাস্ক পরতে হবে, মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। দেখা যাবে আমার বিয়েতে এসে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেলেন।’

প্রসঙ্গত, দেশের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ নাটকটির তৃতীয় সিরিজে ‘অন্তরা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাক্স তারকা ফারিয়া শাহরিন। সিজন শেষ হলেও এখনও ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র ঘোরে আছেন এ অভিনেত্রী। দর্শকমহলে ফারিয়া এখন ‘অন্তরা’ নামেই বেশি পরিচিত। এই অভিনেত্রী মনে করেন, ‘অন্তরা’ চরিত্রটি মিডিয়ায় তাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছে।

ফারিয়ার ভাষ্য, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে, মানুষের ভালোবাসাকে উপভোগ করতে শিখিয়েছে। যে ভালোবাসা আমি নষ্ট করতে চাই না। আমি চাই সবাই আমাকে অন্তরাই ডাকুক। মাসের ৩০ দিন কাজ করতে মন চায় না। অনেক অনেক ধারাবাহিক সম্মানের সঙ্গে না করে দেই অন্তরাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। কাজ এখন অনেক করি, কিন্তু যে ভালোবাসা পাই, তা মাথা পেতে নেই। অন্তরা হয়ে প্রতিটা মুহূর্ত বাঁচি, উপভোগ করি। আলহামদুলিল্লাহ্। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে?’