সব
‘তুমি যদি এক সপ্তাহের মধ্যে আর-১৫ মোটরসাইকেল কিনতে না পারো তাহলে তোমার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ প্রেমিকার এমন কথার পর মোটরসাইকেল কেনার জন্য পা’গল হয়ে যান ফয়সাল সরদার। টাকা জোগাড় করতে অ’পহরণ করেন মাত্র ৮ দিন আগে পরিচয় হওয়া কলেজছাত্র আমিনুর রহমানকে। উদ্দেশ্য ছিলো মু’ক্তিপণের টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল কিনবেন।
কিন্তু আমিনুরকে হ’’ত্যার পর টাকা আনতে গিয়ে ধরা পড়েন ফয়সাল সরদার। তবে আমিনুরের ম’রদেহ এখনও উ’দ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আ’টকের পর জি’জ্ঞাসাবাদে ফয়সাল সরদার পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খুলনার পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান।
ওসি বলেন, দশ লাখ টাকা মু’ক্তিপণের দাবিতে গত রোববার রাত ৯টার দিকে আগড়ঘাটা বাজার থেকে আমিনুর রহমানকে অ’পহরণ করেন ফয়সাল সরদার। এরপর তাকে কপোতাক্ষের তীরে নিয়ে যান ঘুরতে। সেখানে ঘুমের ও’ষুধ খাইয়ে অ’চেতন করে কু’পিয়ে হ’’ত্যা করেন আমিনুরকে। হ’’ত্যার পর ম’রদেহ ভাসিয়ে দেন কপোতাক্ষ নদে। কিন্তু আজ মঙ্গলবারও তার লা’শ উ’দ্ধার হয়নি।
ওসি জানান, আ’টকের পর পুলিশের প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে হ’’ত্যার দায় স্বীকার ও ঘটনাস্থলে পুলিশকে নিয়ে যান ফয়সাল নামের ওই যুবক। ঘটনাস্থলে র’ক্তের চিহ্ন মিললেও খুঁজে পাওয়া যায়নি কলেজপড়ুয়া আমিনুরের ম’রদেহ। নি’হত আমিনুর উপজে’লার কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আ’টক ফয়সাল গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।