যে ছয় নিয়ম মেনে চললে এড়ানো যাবে সিজার: ডা. কাজী ফয়েজা

| আপডেট :  ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৫:২১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

বর্তমানে আমাদের দেশে সিজারের মাধ্যমে শিশু জন্মদানের হার ক্রমশ বেড়েই চলছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১৬ সালে সিজারের পরিমাণ ছিলো ৩১ শতাংশ অথচ মাত্র ৬ বছর আগে ২০১০ এ সিজারের পরিমাণ ছিলো ১৩ শতাংশ। এদের মধ্যে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে সন্তান প্রসবের ৮৩ শতাংশই হয় সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। উন্নত বিশ্বে প্রসূতির কথা চিন্তা করে সিজারে অনুৎসাহিত করা হলেও আমাদের দেশে এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ এখনও চোখে পড়ছে না। প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসকরা বানিজ্যিক স্বার্থে সিজারে বাধ্য করেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু দায় রয়েছে পরিবারেরও। গর্ভাবস্থায় কিছু নিয়ম মেনে চললেই স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সম্ভব। পাঠকদের জন্য সেই নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

১. মায়ের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাসবোধ থাকতে হবে যে, তিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করবেন।

২. lugel exercise নামে এক ধরণের ব্যায়াম আছে। যাতে পেলভিক এলাকার মাংসপেশী সংকোচন ও প্রসারণ করার মাধ্যমে কটি দেশের প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়।

৩. গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে প্রশ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। অন্ত:স্বত্ত্বার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বড় একটি সমস্যা। তাই এ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিস্কৃতি পেতে পারেন।

৪. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হাঁটলে সাঁতার কাটলে ও হালকা কিছু ব্যায়াম করলে অন্ত:স্বত্ত্বা শারীরিকভাবে শক্ত-সামর্থ্যবান থাকেন। যা স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সহায়ক হয়।

৫. নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে কোনো রোগ থাকলে যেমন হাইপার টেনশন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করতে পারেন।

৬. ডাক্তারের দেওয়া খাদ্য তালিকা অনুস্মরণ করলে সন্তান খুব বড়ও হয় না আবার ছোটও হয় না। ফলে স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলে করলে পরবর্তী জীবনে মাকে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতার শিকার হতে হয়। তাই আমাদের সকলেরই লক্ষ্য হওয়া উচিত সিজারকে না বলা।