মায়ের প্রেমের ‘কা’টা’, প্রেমিককে নিয়ে নিজের মেয়েকে হ’’ত্যা!

| আপডেট :  ৪ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫৮ অপরাহ্ণ

কি’শোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে হ’’ত্যার অ’ভিযোগ উঠেছে মায়ের বি’রুদ্ধে। উপজে’লার দেহুন্দা ইউনিয়নের চরদেহুন্দা গ্রামে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নি’হত মাইশা আক্তার (১৬) ওই এলাকার মো. বাবুল মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় নি’হতের মা স্বপ্না আক্তারকে (৪০) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আ’টক করেছে পুলিশ। আ’টক স্বপ্না চরদেহুন্দা গ্রামের তাহের উদ্দিনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, স্বপ্না আক্তারের সঙ্গে তার খালাতো ভাই ফায়জুলের দীর্ঘদিন ধরে প’রকীয়া সম্পর্ক চলছে। বি’ষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস বসে। তারপরেও ফায়জুলের যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। মায়ের এই সম্পর্কের প্র’তিবাদ করায় তারা দুজনে মিলে মাইশাকে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যা করেছে বলে তাদের অ’ভিযোগ।

মাইশার নানি বেদেনা আক্তার (৬৫) জানান, তিনি তার নাতিকে ছোট থেকে লালন করেছেন। স্বপ্না তার মেয়ের খোঁজ রাখতেন না। আজ সকালে স্বপ্না জানায়, হঠাৎ স্ট্রোক করে মাইশা মা’রা গেছে। কিন্তু লোকজন মাইশার গ’লা ও সারা শরীরে দাগ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

মাইশাদের এক আত্মীয় বিপুল মিয়া জানান, মাইশার মৃ’ত্যুর পর স্বপ্না আক্তার পা’লিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আ’টক করে পুলিশে দিয়েছে। আর রাতেই আরেক অ’ভিযুক্ত ফায়জুল মোটরসাইকেল ফে’লে পা’লিয়ে যায়। জানা গেছে, স্বপ্ন আক্তারের সঙ্গে ২০-২৫ বছর আগে বিয়ে হয় রাজশাহীর বাবুল মিয়ার সঙ্গে। বাবুল ঢাকায় একটি বেস’রকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

বাবুল মিয়া জানান, ফায়জুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক ছিল কি-না জানতেন না তিনি। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলেটি তার সঙ্গে ঢাকায় থাকত। আর মাইশা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করত।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, মা স্বপ্না আক্তার নিজেই তার মেয়েকে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ফায়জুলের সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এ কারণেই মেয়েকে হ’’ত্যা করেছেন তিনি। ত’দন্ত করে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।

তিনি আরো জানান, ফায়জুলকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অ’ভিযান চালাচ্ছে। নি’হত মাইশার বাবা বাবুল মিয়া বা’দী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় স্বপ্না ও ফায়জুলের নাম উল্লেখ করে একটি মা’মলা করেছেন। পুলিশ লা’শ উ’দ্ধার ম’য়নাত’দন্তের জন্য ম’র্গে পাঠিয়েছে। সুত্রঃ কালের কণ্ঠ