গু লির লক্ষ্য ছোট ভাই, বুক পেতে দিলেন বড় বোন খুশি

| আপডেট :  ৪ নভেম্বর ২০২১, ০৪:২৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ নভেম্বর ২০২১, ০৪:২৮ অপরাহ্ণ

ছোট ভাই আবদুল হাসিমের ছেলে রবির বুকে টিউমার। ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা বেগম ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালে ছুটছেন বেশ কয়েক দিন ধরে। বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) ভাইকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য ভাইয়ের বাড়ি নেকজানপুর গ্রামে আসেন খোরশেদা বেগম খুশি (৫৫)।হঠাৎ বৃহস্পতিবার ভোরে হাসিমের বাড়িতে হা’মলা। অ’সুস্থ হাসিম তখন বাড়িতেই। হা’মলা করা হয় তার ও’পর। ভাইকে রক্ষা করতে ছুটে আসেন বোন। এমন সময় প্রতিপক্ষ হাসিমকে লক্ষ্য করে গু’লি ছোঁড়ে। সেই গু’লিতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মা’রা যান খুশি।

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোরে নরসিংদী সদর উপজে’লার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে হা’মলার ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত খুশিসহ তিনজনের মৃ’ত্যুর বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আ’হত হয়েছেন আরো ৩০ জন। নি’হতরা হলেন- নেকজানপুর এলাকার পটু মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেন (৫০), আবদুল জলিলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২২) ও আবদুল মনু মিয়া মেয়ে খুশি বেগম (৫৫)।

নি’হত খোরশেদা বেগম খুশির ছেলে মাইন উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের জয়নগর গ্রামে। মামাতো ভাই অ’সুস্থ হওয়ায় মামাকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার মামার বাড়িতে আসেন মা। আজকে ভোরে প্রতিপক্ষের লোকজন যখন মামাকে মারধোর করেছিল তখন আমার মা বাঁ’ধা দিতে গেলে তার বুকে গু’লি করে দেয়। আর ঘটনাস্থলেই মা’রা যান তিনি। পরে মামাকেও গু’লি করে ঘরে আ’গুন লাগিয়ে দেয় তাঁরা।’

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লাহ মিয়ার দ্ব’ন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে প্রতিপক্ষ আসাদুল্লাহ প্রথমে আওয়ামী লীগের বি’দ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে শেষদিনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। বি’ষয়টি তাঁর সমর্থকরা ভালোভাবে নেয়নি।

এদিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যপদে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক আবুল খায়ের এবং আসাদুল্লাহর সমর্থক রিপন মিয়া প্রতিদ্ব’ন্দ্বিতা করছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবুল খায়ের সমর্থকদের ও’পর প্রতিপক্ষ রিপনের সমর্থকরা দেশি ধা’রালো ও আ’গ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আকস্মিক হা’মলা চালান। একপর্যায়ে দুই পক্ষই সং’ঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ’পরাধ) সাহেব আলী পাঠান কালের কণ্ঠকে বলেন, মেম্বার পদপ্রার্থী আবুল খায়ের ও রিপন গ্রুপের মধ্যে আকস্মিক সং’ঘর্ষে গু’লিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নি’হত হয়েছেন। তাঁদের ম’রদেহ ম’য়নাত’দন্তের জন্য সদর হাসাপাতাল ম’র্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আ’হত ১০-১২ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ৭-৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ