উত্তপ্ত রংপুর, থানা ঘেরাও-পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধা’ওয়া-পাল্টা ধাওয়া

| আপডেট :  ২ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

মোঃ বেলায়েত বাবু, রংপুর: রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বি’রুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পি’টিয়ে হ’’ত্যার অ’ভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা সড়ক অ’বরোধ করে বি’ক্ষো’ভ মিছিল করেছেন। পরে তারা হারাগাছ থানা ঘেরাও করলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধা’ওয়া-পাল্টাধা’ওয়ার ঘটনা ঘটে।

উত্তেজিত জনতা ইটপাকটেল ছু’ড়ে মা’রার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভা’ঙচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল ছু’ড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বি’ক্ষো’ভকারীরা পিছু হটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছের নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপতি এলাকায় তাজুল ইসলাম নামে এক মা’দকাসক্ত ব্যক্তিকে আ’টক পরবর্তী তার মৃ’ত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। নি’হত ব্যক্তির নাম তাজুল ইসলাম (৫৫)। তিনি উপজে’লার হারাগাছ নয়াটারী দালালহাট গ্রামের মৃ’ত শওকত আলীর ছেলে।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে দৈনিক সন্ধ্যাবাণীকে বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মা’দকসহ আ’টক করে পুলিশ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধ’স্তাধ’স্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে মা’রধর করলে ঘটনাস্থলেই মা’রা যান তাজুল ইসলাম। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এর প্র’তিবাদে প্রথমে রংপুর-হারাগাছ সড়ক অ’বরোধ করেন উত্তেজিত জনতা।

পরে তারা হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বি’ক্ষো’ভ করেন। পুলিশ টিয়ারশেল ছু’ড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বি’ক্ষো’ভকারীরা রংপুর-হারাগাছ সড়কের হক বাজার এলাকায় অবস্থা নেন। এ সময় ধা’ওয়া-পাল্টাধা’ওয়া ও ইটপাকটেল ছু’ড়ে আসে দুদিক থেকে। বিক্ষুদ্ধরা পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভা’ঙচুর করে। শত শত মানুষ থানায় হা’মলার চেষ্টা করেন। পুলিশ টিয়ারশেল ছু’ড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আ’হত হয়েছেন।

মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী স’রকার জানান, সন্ধ্যায় নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপতি থেকে গাঁ’জা সেবনরত অবস্থায় আ’টক করে তাজুল ইসলামকে হাতকড়া পড়ানো হয়। এতে ভ’য়ে সে মলত্যাগ করে ফে’লে। হঠাৎ অ’সুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হাতকড়া খুলে দেয়। এর পর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে যে তাজুল ইসলাম মা’রা গেছেন।তিনি আরও জানান, এলাকাবাসী ভু’ল তথ্য পেয়ে থানা ঘেরাও করে ভা’ঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইট-পা’টকেলের আ’ঘাতে কয়েকজন পুলিশসদস্য আ’হত হয়েছে। বি’ক্ষো’ভকারীরা পুলিশের গাড়িও ভা’ঙচুর করেছে।

অন্যদিকে আরপিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অ’পরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা বি’ক্ষো’ভকারীদের ধা’ওয়া-পাল্টাধা’ওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাদের হটিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। কয়েকজনকে আ’টক করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের নি’র্যাতনে আ’টক ব্যক্তির মৃ’ত্যুর যে অ’ভিযোগ তোলা হয়েছে, তার ম’রদেহ ম’য়নাত’দন্ত করলে প্রকৃত বি’ষয়টি জানা যাবে,