২শ’ টাকা বেতনের ঝাড়ুদার থেকে নৈশপ্রহরী, কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক!

| আপডেট :  ১ নভেম্বর ২০২১, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ নভেম্বর ২০২১, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে রোজ ২শ’ টাকা বেতনে ঝাড়ুদারের চাকরি শুরু করেন সৈয়দ আলী ওরফে সবুজ। এরপর হন নৈশ প্রহরী। কয়েক বছরের মধ্যে বনে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। এখন লাখ লাখ টাকা দানও করেন তিনি। এলাকার অনেকে তাকে চেনেন কাস্টমসের বড় কর্মকর্তা হিসেবে।

আট বছর আগেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাসিক ৮শ টাকা ভাড়ায় এক রুমে পরিবার নিয়ে থাকতেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে মাস্টররোলে ঝাড়ুদার সৈয়দ আলী। কয়েক বছর হলো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে স্থায়ী হন নৈশপ্রহরী পদে।

এই সময়ের মধ্যেই তিনি বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। স্থানীয়রা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার কালু হাজী রোডে এখন একটি ৫তলা ও দুটি দোতলা বাড়ি, ৬ কাঠার উপর এক পাশে ১ তলা পাকা দালান, অপর পাশে ২০ রুমের আধা-পাকা টিন শেড বাড়ির মালিক সৈয়দ আলী। কালু হাজী রোড থেকে একটু ভেতরে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ায় তিন কাঠার ওপর ৩ তলা বাড়িটিও তার। এছাড়া রাজধানীর রায়েরবাগে আছে ১ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় রয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৫ কাঠার প্লট।

এলাকায় কাস্টমসের বড় অফিসার হিসেবে পরিচিতি সৈয়দ আলীর। নিয়মিত লাখ লাখ টাকা দান-খয়রাতও করেন তিনি। সম্প্রতি ছেলের সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠানও করেছেন রাজকীয় কায়দায়। এলাকাবাসীরা বলেন,‘আগে শুনেছি সৈয়দ আলী ভাড়া থাকতেন, এখন তার তিন চারটা বাড়ি আছে। সবারই মনে প্রশ্ন কিভাবে এতো টাকার মালিক হলেন। এলাকায় তাকে চিনেন সবাই কাস্টমসের বড় কর্মকর্তা হিসেবে।

এত সম্পদের উৎস কী? তা জানতে গেলে সাংবাদিকদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে বাধা দেন আলীর স্ত্রী। ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে চলতে থাকে ম্যানেজ করার মিশন। বলেন, ঋণ নিয়ে এত কিছু করেছেন তারা। তবে ঋণের কোন কাগজ দেখাতে পারেনি তিনি।

এদিকে যাকে নিয়ে এতো কথা সেই সৈয়দ আলীর সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও দেখা মেলেনি। মুঠোফোনে তিনি জানান, এসবের কিছুই তার নয়। দিকে সৈয়দ আলীর অফিসে গিয়ে জানা গেছে নৈশপ্রহরী হলেও নিয়মিত দিনের বেলায় অফিসে এসে ব্যস্ত থাকেন নানা তদবিরে। গত ২৬শে জুন তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ