কারাগারের অজ্ঞাত সেলে রাজকীয় জীবন কাটাচ্ছেন ওসি প্রদীপ

| আপডেট :  ২২ নভেম্বর ২০২০, ০১:০২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ নভেম্বর ২০২০, ০১:০২ অপরাহ্ণ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। আর বর্তমানে কারাগারে রাজকীয় জীবন কাটাচ্ছেন এই ওসি প্রদীপ।

কানা গেছে এর আগে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারের ৩২ নং সেলে থাকলেও বর্তমানে তাকে নির্ধারিত সেল বদলে অজ্ঞাত সেলে রাখা হচ্ছে। তিনি সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি বিলাসী জীবনই কাটাচ্ছেন সেখানে। এমনকি এর আগে অভিযোগ উঠেছিলো কারাগারের ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে তিনি অহরহ বাইরে যোগাযোগ করছেন। তবে চট্টগ্রাম কারাগারের কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ওসি প্রদীপ মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।

কারাগার সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওসি প্রদীপ গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ডিভিশন-১ মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দির সুবিধা উপভোগ করে আসছেন।

ডিভিশন পাওয়া বন্দিরা একেকজন একেকটি কক্ষে থাকেন। ওসি প্রদীপও এ ধরনের একটি কক্ষেই সাহায্যকারী একজন সঙ্গীসহ থাকতেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ডিভিশন-১ মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দির সুবিধা উপভোগ করে আসছেন ওসি প্রদীপ। জেল কোড অনুসারে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কারাগারে ডিভিশন দেওয়া হয় এবং প্রথম শ্রেণির ডিভিশনপ্রাপ্ত প্রত্যেক বন্দির জন্য আলাদা রুম থাকে। সেসকল রুমে খাট, টেবিল, চেয়ার, তোষক, বালিশ, তেল, চিরুনি, আয়নাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকে এবং তাদের কাজকর্ম করে দেওয়ার জন্য লিঙ্গভেদে আরেকজন ছেলে বা মেয়ে বন্দি দেওয়া হয়। এছাড়া ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা সময় কাটানোর জন্য বইপত্র ও তিনটি দৈনিক পত্রিকা পান। এমনকি তাদের খাবারের মানও ভালো থাকে। চিকন চালের ভাত ছাড়াও সকালে চাহিদা অনুযায়ী রুটি, ডিম, কলা, ভাজি, বাটার, জ্যাম-জেলি দেয়া হয় এবং দুপুরে ভাত-মাছ-মাংস তাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হয়।

জানা গেছে, শুরুর দিকে ওসি প্রদীপ কারাগারে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের ৩২ নং সেলে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যামামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া কয়েদি কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ছেলে ইয়াছিন রহমান টিটুর পাশের রুমেই থাকছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাকে এই সেল থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারাগারের ৩২ সেল ভেঙে এখন ৬৪ সেল করা হচ্ছে। তাই সেখানে আপাতত কোনো বন্দি রাখা হচ্ছে না এবং ওসি প্রদীপকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে।