প্রেমের টানে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজাকে নিয়ে পালালেন চাচি!

| আপডেট :  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৫৪ অপরাহ্ণ

ওয়াইফাই সংযোগ দিয়ে মোবাইলে গেম খেলতে পার্শ্ববর্তী চাচির বাড়িতে যাওয়া-আসা এবং এরপর প্রেমের টানে সেই চাচির হাত ধরেই পালালো স্কুল পড়ুয়া চৌদ্দ বছর বয়সের এক কিশোর। সম্প্রতি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয় ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। প্রথমে প্রেমের টানে চাচির হাত ধরে ভাতিজার চলে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে না পারলেও তাদের উদ্ধারের পর বিষয়টি সামনে আসে।

জানা যায়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয় ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোর। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া ওই কিশোর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছে এর আগে। বাবা সৌদি আরব প্রবাসী। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে ওই কিশোর সবার বড়।

থানা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ তারিখে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ওই কিশোর। তারপর ২৪ অক্টোবর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির সূত্র ধরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে তাদেরকে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পাওয়া যায় কুড়ি বছরের সেই প্রেমিকা চাচিকে। সেখানে তারা একটি ভাড়া বাড়ির সন্ধান করছিল।

চাচির হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া ওই কিশোর জানায়, করোনার সময় পার্শ্ববর্তী চাচির বাড়িয়ে গিয়ে ওয়াফাই দিয়ে মোবাইল ফোনে গেম খেলতো সে। এভাবে প্রতিদিন যেতে যেতে চাচি তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে কিছু না বুঝেই সে রাজি হয়ে যায়। ৩ থেকে ৪ মাস ধরে চলে প্রেম। এর মধ্যে চাচিকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরতেও যায় ওই কিশোর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কিশোরের এক স্বজন জানান, কুড়ি বছর বয়স্ক ওই নারীর স্বামী গাজীপুরে বিকাশের ব্যবসা করেন। প্রায় বছরখানেক আগে মোবাইল ফোনে এক অপরিচিত ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া জেলা বাঞ্ছারামপুর চলে যায়। পরে সেখানে ওই ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। ওই ঘটনার পর মেয়ে ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের মধ্যস্থতায় পুনরায় সংসার করে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই একটা বাচ্চা ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, থানায় নিখোঁজের জিডির অনুসন্ধানে গিয়ে তাদের রাজধানী ঢাকার নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করেছে প্রেমের টানে ঘরে ছেড়েছে। তবে এ ঘটনার পর দুই পক্ষের অভিভাবকের কাছে দু’জনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই এসআই।