অচেনা ইংল্যান্ডকে হারানোর ছক কষে ফেলেছে বাংলাদেশ

| আপডেট :  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ

ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের তিনবারের দেখায় দুইবার জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান আর ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে ইংলিশদের হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের দেখায় বাংলাদেশকে হারালেও এখন পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে খেলা হয়নি কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বলাই যায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই দলের কাছে দুই দলই অচেনা।

প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবার আগে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ। “অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি আমরা যে কোন দলকে হারাতে পারি। বাছাইপর্বটা একটু স্নায়ু ক্ষয়ী ছিল। সেখানে পরিস্থিতি ভিন্ন।

কিন্তু এখন আমরা বড় দলের মধ্যে এসেছি এবং আমাদের সবার পরিমাপ একরকম। তাই আমরা এখানে ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে আসিনি অবশ্যই জিততে এসেছি।” মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রান তুলেও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে নিষ্প্রাণ ছিলেন কদিন আগে এই মাঠগুলোতে আইপিএল খেলা মোস্তাফিজুর রহমান।

তবে গিবসন মোস্তাফিজকে নিয়ে বলছেন, “ফিজ অবশ্যই আমাদের মূল বোলার। সে যেকোনো কন্ডিশনে ভালো। আইপিএলে তাকে যেমন দেখেছি তার চেয়ে বাংলাদেশের হয়ে তার কাটারগুলো বেশি কার্যকর। সে খুব দ্রুতই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। অবশ্য সে আইপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। ডেথ ওভারে সে আমাদের মূল বোলিং অস্ত্র।”

এদিকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজকে ৫৫ রানে অল-আউট করে দিয়েও জয় পেতে হারাতে হয়েছিল ৪ উইকেট। ক্যারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেনের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হতে হয়েছিল ইংলিশ ব্যাটারদের।

সব দেখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগে নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলা হয়েছে বলছেন ওটিস গিবসন, “ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন খুব শক্ত। আমাদের এ গেম খেলতে হবো যদি ওদের চ্যালেঞ্জ দিতে চাই বা জিততে চাই। আমরা গতকাল টিম মিটিংয়ে এসব নিয়ে কথা বলেছি। ম্যাচ নিয়ে মিটিংয়ে যেসব আউটকাম এসেছে আমরা আজকের অনুশীলনে সেসব নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। যেমন আমাদের বোলিং। আমাদের ম্যাচে নিখুঁত হতে হবে।

জানি ওরা আমাদের কঠিন লড়াই উপহার দিবে পাশাপাশি আমাদের সুযোগও দিবে যেমন উইন্ডিজের সঙ্গে ৫৫ রান তাড়া করতেই ওদের চার উইকেট গিয়েছিল। তো এই জিনিসগুলোকে আমরা ইতিবাচক ভাবে নিতে পারি। আমাদের নিজেদের সেরা খেলা খেলতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে ওরা আমাদের সুযোগ দিবে।”