অনলাইনেই মিলছে ‘মনের মানুষ’

| আপডেট :  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০৩:২৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০৩:২৮ অপরাহ্ণ

বিবাহযোগ্য নারী পুরুষের জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করেন ঘটক। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বদলে যাচ্ছে এই পেশার রূপ। দেশে চালু হয়েছে বেশকিছু ম্যাট্রিমনি সাইট। আগ্রহীরা এখন জীবন সঙ্গী খুঁজে নিচ্ছেন অনলাইনেই। ঘটকালি, ভিন্নধর্মী এক পেশা। পাত্রপাত্রীর ছবির অ্যালবাম আর বায়োডাটা নিয়ে এক বাসা থেকে আরেক বাসা। দুপক্ষের পছন্দ হলেই বেজে ওঠে বিয়ের সানাই।

তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আর ঘরে ঘরে ছোটেন না পেশাদার অনেক ঘটক। বরং নিজস্ব ওয়েবসাইট আর ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অনলাইনেই ম্যাচ মেকিং করছেন তারা। নাগরিক জীবনে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইনে ম্যাট্রিমনি সাইট। বারো বছর আগে শখের বশে ঘটকের কাজ শুরু করেছিলেন তাসলিমা। এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মানুষকে জীবনসঙ্গী খুঁজে দিয়েছেন তিনি।

গত ছয় বছরে নিজের অনলাইন ম্যাট্রিমনি সাইটের মাধ্যমেই দিয়েছেন অন্তত ছয়শো বিয়ে। সেই সাথে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন অনেকের। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সিই তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘এই বিয়ে দেবার কাজটা আমি করেই যাবো। কারন অনেকেই আমার নাম শুনে দূর-দূরান্ত থেকে আমার কাছে আসে। এটা আমার খুই ভালো লাগে যে তাসলিমার কাছে গেলে আমার মেয়ের বিয়ে হবে। তাই এই কাজটা ধরে রাখতে চাচ্ছি।’

অনলাইন নির্ভর ঘটকালি পেশায় অংশ নিচ্ছেন প্রযুক্তি জ্ঞ্যান সম্পন্ন তরুণরাও। ওয়েবসাইট ও ফেইসবুকের মাধ্যমেই চলছে আধুনিক ঘটকালি। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ায় কর্মরত রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যারা এখানে প্রোফাইল করে আমরা তাদের সাথে কথা বলে ডায়োডাটা ও এনআইডি ভেরিফিকেশন করি। তারপর প্রোফাইলকারির গার্ডিয়ান ভেরিফিকেশন করে নম্বর দেই।’ দেশে এ ধরনের প্রায় তিন চারটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। করোনাকালে সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে বহু মানুষই বেছে নিচ্ছেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মকেই।

তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ায় কর্মরত রিয়াদ মোর্শেদ বলেন, ‘যারা ঘটকের কাছে যাবার সময় পাচ্ছেন না তাদের এখান থেকে পাত্র-পাত্রি পছন্দ করার সুযোগ থাকছে। এখানে দরকার শুধু একটা প্রোফাইল করার। তারপর পছন্দ হলেই দুজন দুজনকে বিযের প্রস্তাব দিতে পারবে।’ প্রযুক্তিনির্ভর ঘটকেরা পেশাটির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান রাষ্ট্রের সহায়তায়।