রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক মিয়ানমার!

| আপডেট :  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

মানবিক কারণে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। সেই রোহিঙ্গারাই বাংলাদেশের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বেশ উদাসীন।

অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মাদক পাচার আর একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ২৩ দিনের মাথায় ছয়জন নিহতের ঘটনা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। আলোচনায় আসছে মিয়ানমারের আরাকান স্যালভেশন আর্মি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার নামও।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,

অন্যদিকে ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদারের কথা বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এমদাদুল ইসলাম।

২০১৭ সালের আগস্টের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬১ জন খুন হয়েছেন, ধর্ষণ ৩৫টি এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৬টি। গেল কয়েক বছরে প্রায় ১২ ধরনের অপরাধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৭৩১টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জেলে আছে প্রায় ৫৬০ জন পুরুষ ও ৪৮ জন নারী।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,মিয়ানমারের ওপর নজর দিতে হবে, কারণ মিয়ানমার রিপাকিয়েসন কাজ শুরু না হওয়ার কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে।সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে, দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোকে এক হয়ে এর বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, একটা দেশে যখন উন্নয়নের দিকে যায়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই অনেক শত্রু সৃষ্টি হবে। তাই দেশের সব ক্ষেত্রকে আরও বেশি শক্ত করতে হবে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আগাম তথ্য না থাকায় হত্যাকারীদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়া গোয়েন্দাদের এক ধরনের দুর্বলতা বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ঝড় আসার আগেই যেমন সতর্ক থাকতে হবে তেমনি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও তৎপর তাকতে হবে।

উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে, নিবন্ধিত সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরাতে আবারও কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের তাগিদ দিয়েছেন এই দুই বিশ্লেষক।