পীরগঞ্জে হামলার ‘হোতা’ সৈকত মণ্ডল ছাত্রলীগ নেতা

| আপডেট :  ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৭:৪১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৭:৪১ অপরাহ্ণ

রংপুরের পীরগঞ্জে জে’লেপল্লিতে হিন্দু সম্প্রদা’য়ের বাড়িতে হা’মলা ও অ’গ্নিসংযোগের ঘটনায় র‌্যা’বের হাতে আ’টক হওয়া প্রধান অ’ভিযুক্ত এসএম সৈকত মণ্ডল (২৪) একজন ছাত্রলীগ নেতা। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

তবে হা’মলার ঘটনার পর গত সোমবার তাকে ব’হিষ্কার করা হয়। সৈকত মণ্ডল উপজে’লার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামের রাশেদুল মণ্ডলের ছেলে।তাকে ব’হিষ্কারের বি’ষয়ে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার জানান, সৈকতকে গত ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ থেকে ব’হিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে হা’মলার ঘটনায় সৈকত ও আরেক আ’সামি রবিউল ইসলামকে ঢাকার টঙ্গী থেকে শুক্রবার রাতে আ’টক করেছে র‌্যা’ব। র‌্যা’বের ভাষ্য- ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মি’থ্যা পোস্টের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন সৈকত মণ্ডল। আর ঘটনার রাতে বটেরহাট জামে মসজিদ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তার সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এরপরই হা’মলা চা’লানো হয় রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর কসবা জে’লেপল্লিতে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যা’বের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র‌্যা’ব।রবিউল ইসলাম বটেরহাট জামে মসজিদের ইমাম এবং সে খেজমতপুর গ্রামের মৌলভী মো. মোসলেম উদ্দিন বাবুর ছেলে।

শনিবার র‌্যা’বের সংবাদ সম্মেলনে র‌্যা’বের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলছেন, সৈকত মণ্ডল আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সা’ম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে আসছিল। কুমিল্লার ঘটনার পর থেকেই সে নানারকম উ’স্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছে। হা’মলার পেছনে গুজব ছড়াতে সে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। রবিউল ইসলাম তার এসব বক্তব্য প্রচারে সহযোগিতা করেছে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, আ’টক হওয়া সৈকত মণ্ডল যে গ্রামে আ’গুন দেয়, সেই গ্রামের পাশের মসজিদে গিয়ে মাইকিং করে উ’ত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সবাইকে জড়ো হতে বলে। পরবর্তীতে সে একজন আত্মীয়কে দায়িত্ব দেয় মাইকিং করার জন্য। সেই গ্রামের একটি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে সবাইকে (হা’মলায়) নেতৃত্ব দেয়। সুত্রঃ যুগান্তর