সব
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ‘বিয়ের প্রলোভনে’ এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাজেদুল ইসলাম বাবু (২৬) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে পুলিশ। ২২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মনিরপুর গ্রাম থেকে গভীর রাতে তাকে আটক করেছে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ।
আটক মাজেদুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার ভদ্রকোল গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। তিনি গুলশান থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মনিরপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে খালেদা পারভীন (৩০) শুক্রবার উল্লাপাড়া মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ১২ বছর আগে ভদ্রকোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম খালেদাকে বিয়ে করার জন্য নানানভাবে প্রস্তাব ও প্রলোভন দেন। গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্বামী আমিনুল ইসলামকে তালাক দেয় খালেদা। এরপর খালেদা তার বাবার বাড়ি চলে যান।
মাজেদুল তালাকের পর থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে নিয়মিত খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকবার ধর্ষণ করেন। মাঝে কিছুদিন ঢাকা গাজীপুরে এক বাসা ভাড়া করে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নানান কৌশলে খালেদাকে বাসায় নিয়ে রাখেন। পরে তিনি তাকে বিয়ে না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
অবশেষে গত ২১ অক্টোবর রাতে মাজেদুল খালেদার বাবার বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ করে। মাজেদুল ঘর থেকে বের হওয়ার সময় খালেদা মাজেদুলের মনোভাব বুঝে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দেওয়া অভিযোগে খালেদা পারভীন এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে খালেদা পারভীনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ১২ বছরের সংসার। তিনি বিদেশে চাকরি করতেন। এই সময়ে তার অনেক অর্থ ও স্বর্ণ খালেদা হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। খালেদার বিরুদ্ধে তিনি এ ব্যাপারে আদালতে প্রতারণার মামলা করবেন বলেও জানান।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির এ ব্যাপারে জানান, পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল থানায় আটক রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে মাজেদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেবেন।