আরিয়ানকে নিয়ে চিন্তিত পুলিশ!

| আপডেট :  ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীর মাদক পার্টি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে বর্তমানে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের দিন কাটছে কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে। কোনো বিশেষ সুযোগসুবিধা না থাকায় সেখানে কারাগারের অন্য বন্দিদের মতোই থাকতে হচ্ছে তাকে। তার পরিচয় এখন ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬’। তাকে নিয়ে বেশ বেকায়দায় আছে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারা কর্তৃপক্ষ।

সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। আদরের কোনও কমতি নেই। দামি পোশাক, দামি খাবারে অভ্যস্ত। পড়াশোনা করেছেন লন্ডনের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে।মান্নাতের রাজকীয় বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত আরিয়ানকে কারাগারের জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।কারাগারের নিয়মিত খাবার খেতে পারছেন না আরিয়ান খান। তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছেন শাহরুখপুত্র। ফলে আরিয়ানের স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বেশ চিন্তিত কারাগার কর্তৃপক্ষ।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।

আরিয়ানের খাওয়াদাওয়ার খরচ বাবদ মানি অর্ডারে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন শাহরুখ। জেলে বসে এই মুহূর্তে বাড়ির খাবার খাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় আপাতত সেখানকার ক্যান্টিনের খাবার খেয়েই শাহরুখ-তনয়ের দিন কাটছে। যেহেতু বিশেষ কিছু মুখে তুলছেন না, তাই তার শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তায় কারাগার কর্তৃপক্ষ।

ভারত সরকারের কোভিড বিধি অনুযায়ী নতুন বন্দিদের প্রথম ৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আরিয়ানকে প্রথমে আর্থার রোড কারাগারের এক নম্বর ব্যারাকে রাখা হয়েছিল। তবে ইতোমধ্যেই তাকে অন্য ব্যারাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গেও তাকে রাখা হচ্ছে না। পরতে হচ্ছে না জেলের কয়েদিদের পোশাকও।

আরিয়ান কারও সঙ্গেই কথা বলতে চাইছেন না। এমনকি মাদককাণ্ডে তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া সঙ্গীদের সঙ্গেও দেখা করতে ইচ্ছুক না তিনি। এ কারণে তার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহুগুণ। কারাগারের কর্মীরাও আরিয়ানের ওপর বিশেষ নজর রাখছেন।

প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।