ছেলেকে বাঁচাতে সালমানের উকিলের দ্বারস্থ শাহরুখ

| আপডেট :  ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান ড্রাগস কেসে জে’লে ব’ন্দি। মুম্বইয়ের নামী আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে তার মা’মলা লড়ছেন। তবে এখন শাহরুখ তার ছেলের জন্য নতুন এক আইনজীবীর সাহায্য নিচ্ছেন। নতুন উকিল হলেন অমিত দেশাই। তিনি সেই আইনজীবী যিনি ২০০২ সালে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হিট অ্যান্ড রান কেস থেকে ছাড়িয়েছিলেন। শাহরুখের ছেলেকে জে’ল থেকে বের করে আনার জন্য এবার সেই অমিত দেশাইকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

অমিত ১১ অক্টোবর আরিয়ানের জন্য কোর্ট গিয়েছিলেন। তিনি জা’মিনের আর্জি দাখিল করেছেন। এরপর এনসিবি কাউন্সিল আ’দালত জানিয়েছে, এজেন্সি আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। নিজেদের কথা জানানোর জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে তারা।

অমিত দেশাই বলেছেন, তার মক্কেল আরিয়ান গেল এক সপ্তাহ ধরে জে’লের মধ্যে রয়েছেন। জা’মিনের আবেদন ত’দন্তের ও’পর নির্ভর করে না। আমি জা’মিনের জন্য বলছি না। আমি তারিখের জন্য বলছি। প্রশাসনিক কারণে কারও মুক্তি আ’টকে যাবে, এটা হতে পারে না। এনসিবি ত’দন্ত করতেই পারে।

তিনি আরও বলেন, আর যদি আরিয়ান এর কথা বলি, তা হলে বড় জো’র এক বছরের শা’স্তি হবে। তার বি’রুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া গিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। আর এরপরও যদি এনসিবি বলে তাদের আরও এক সপ্তাহ সময় চাই, তা হলে বলতে হয় এটা এক বছরের শা’স্তির জন্য।

শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান দায়রা আ’দালতে জা’মিনের আবেদন করেছিল। যার কোনও নির্দেশ এখনও আ’দালতের তরফ থেকে আসেনি। ২ অক্টোবরের মা’মলায় এনসিবি তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। গত কয়েকদিন তাকে রাখা হয়েছে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জে’লে। কিলা কোর্টের তরফ থেকে তার জা’মিনের আর্জি নাকচ হয়ে যায়। আর তারপর সে হাজির হয়েছে দায়রা আ’দালতে।

এদিকে ছেলে আরিয়ান খান গ্রে’প্তারের পর থেকেই মা’নসিক চা’পের মধ্যে আছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ছেলেকে মুক্ত করতে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। ছেলের দুশ্চিন্তায় ঠিকমতো খেতে পারছেন না শাহরুখ। এমনকি ঘুমাতেও পারছেন না কিং খান। ছেলে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আপাতত সিনেমার কাজ স্থগিত রাখছেন বাদশা।

প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মা’দক সেবনের অ’ভিযোগে গ্রে’প্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার জি’জ্ঞাসাবাদে মা’দক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রে’প্তার করা হয়েছে। গ্রে’প্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।