দীর্ঘদিন থানার ভিতর আ’টকে রেখে আমার কিশোরী মেয়েকে ধ’ র্ষণ করে ওসি প্রদীপ: বেবী বেগম

| আপডেট :  ১১ অক্টোবর ২০২১, ১১:২০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ অক্টোবর ২০২১, ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হ’’ত্যা মা’মলার পূর্বে নির্ধারিত পঞ্চম দফায় প্রথম দিনে আরও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আ’দালতে ২০তম সাক্ষী বেবি বেগমের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে আ’দালতের কার্যক্রম।

এ সময় বেবি বেগম আ’দালতকে বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার বাহিনী ২০২০ সালে আমার কি’শোরী কন্যাকে অ’স্ত্র ঠেকিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন থানার দ্বিতীয়তলায় আ’টকে রেখে আমার মেয়েকে ধ”ণ করে ওসি প্রদীপ। ওই সময় ছাড়া পেয়ে মেয়ে বাড়ি ফিরে আসলে কয়েকবার আত্মহ’’ত্যার চেষ্টা চা’লায়।

প্রশাসন ওসি প্রদীপের পক্ষে থাকায় মা’মলা করার সাহস পাননি দাবি করে বেবি বেগম বলেন, মেজর সিনহা হ’’ত্যা মা’মলার পর তিনি সাহস পেয়ে ওসি প্রদীপের বি’রুদ্ধে আ’দালতে ধ”ণ মা’মলা করেছেন। রোববার বেবি বেগম ছাড়াও সে’না কর্মকর্তা লে. আরেফিন, করপোরাল নুর আহম’দ, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ মঈন ও রুহুল আমিন এবং লেন্স করপোরাল আবু জাফর আ’দালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে তাদের আ’সামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

সে’না সদস্যরা সবাই মেজর সিনহা হ’’ত্যার রাতে সে’না সদস্যদের সঙ্গে ওসি প্রদীপের দু’র্ব্যবহার ও মেজর সিনহা হ’’ত্যাকে পরিকল্পিতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার বি’ষয়টি আ’দালতে তুলে ধরেন। মেজর সিনহা হ’’ত্যা মা’মলা বিচারকাজে যুক্ত একাধিক আইনজীবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জে’লা কা’রাগার থেকে মা’মলার ১৫ আ’সামিকে প্রিজনভ্যানে কড়া পুলিশ পাহারায় আ’দালতে আনা হয়।

কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের স’রকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, মা’মলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে আ’দালত নোটিশ দিয়েছেন। গত ২৩ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ২৫ জনের জ’বানব’ন্দি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার পঞ্চম দফায় প্রথম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ জন সাক্ষী আ’দালতে উপস্থিত থাকলেও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পেরেছেন আ’দালত। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লা’শি চৌকিতে মেজর সিনহা নি’হত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বা’দী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মা’মলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আ’দালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বি’রুদ্ধে হ’’ত্যা মা’মলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। সূত্রঃ যুগান্তর