ইয়াবা ব্যবসা করে কোটিপতি রোহিঙ্গা নেতারা

| আপডেট :  ১৪ নভেম্বর ২০২০, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ নভেম্বর ২০২০, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা এসেছিলেন প্রাণ বাঁচাতে শরনার্থী হিসেবে। কিন্তু মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গারাই এখন গড়ে তুলেছেন মাদক সাম্রাজ্য। ইয়াবা ব্যবসা করে কোটিপতি হয়ে উঠছেন একেকজন রোহিঙ্গা নেতা।

জানা গেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ‘মাস্টার’, ‘মাঝি’ এবং ‘সহকারী মাঝি’রা ইয়াবার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয়ের পাশাপাশি ক্যাম্পে আধিপত্য বজায় রাখতে গড়ে তুলছে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ। ক্যাম্পের কেউ অস্ত্র এবং ইয়াবার ক্যারিয়ারে রাজি না হলেই তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।

ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিষয়টি জানতে পেরে ৬শ’ মাঝি এবং ১২শ’ সহকারী মাঝিকে নজরদারির মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে সিএমপির উপ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, মাস্টাররা ইয়াবা বিক্রি করে বিত্তবান হয়ে যাচ্ছে আর নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য তারা অস্ত্র সংগ্রহ করছে।

এসময় তিনি আরও জানান, ক্যাম্পগুলোতে প্রশাসনিক দায়িত্বের সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকেই এসব মাঝি, সহকারী মাঝিদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু রিমান্ডে থাকা সাধারণ রোহিঙ্গারা দাবি করছেন, ক্যাম্পগুলোতে মাস্টার, মাঝি এবং সহকারী মাঝিদের ত্রাসের রাজত্ব চলছে এখন। অস্ত্র ও ইয়াবা ক্যারিয়ারে রাজি না হলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের অপহরণ করা হচ্ছে এমনকি হত্যার পর লাশও গুম করছে। এ অবস্থায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়া থানা এলাকার ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬শ মাঝি এবং ১২শ সহকারী মাঝির তালিকা সংগ্রহ করে নজরদারি শুরু করছে পুলিশ প্রশাসন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের সাতজন মাষ্টার ও মাঝির নাম পাওয়া গেছে যারা সরাসরি অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত।

প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ ও র‌্যাবের পৃথক অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক অস্ত্র এবং ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা।