মোবাইলে পরিচয়; প্রথম সাক্ষাতে শুধু প্রেমিক নয়, মামাও সর্বনাশ করল

| আপডেট :  ৯ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

মোবাইল ফোনে পরিচয়। মাঝে মধ্যে চলতো খু’নসুটি। এভাবেই একে অন্যের সাথে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। কি’শোরীর বয়স কেবল ১৫ হলেও প্রেমিকের আছে বউ বাচ্চা। সব জেনেও চলছিল অদম্য প্রেমালাপন। প্রথম সাক্ষাতেই প্রেমিকের কু’কর্মের শি’কার হয় ওই কি’শোরী। শুধু প্রেমিক নয় প্রেমিকের মামাও অংশগ্রহণ করেন এই কু’কর্মযজ্ঞে। পরে আরো একজন অংশ নিতে চাইলে কিশোরী কা’ন্না আর ক্ষমা প্রার্থনায় প্রা’ণে রক্ষা পায় ওই কি’শোরী।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজে’লার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দোলালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বা’দী হয়ে থানায় মা’মলা করেন। এ মা’মলায় লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মোস্তফা (২৩) এবং একই এলাকার মফেজ উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল (৩২) কে আ’টক করেন পুলিশ।

সাগরদিঘি পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ মনিরুজ্জামান (ইন্সপেক্টর) এবং কি’শোরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই ত’রুণীর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় মোস্তফার। মাঝে মাঝে কথা হতো তার সাথে। গত দুই দিন আগে ওই তরুনী পরিবারের সাথে রাগ করে চাকরির খোঁজে চলে যায় গাজীপুর। কোথাও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে ওই মেয়ে।

পরে মোস্তফাকে বি’ষয়টি জানালে সে ওই তরুনীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তার কাছে ডেকে নেন। মোস্তফা ওই মেয়েকে পরের দিন একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দিবে বলে এক রাত অপেক্ষা করতে বলেন। পরে মোস্তফা তার প্রতিবেশি এক মামা মোফাজ্জল হোসেনের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় ওই মেয়েকে।

এরপর মামা ভাগিনা দুইজনে মিলে পালাক্রমে চা’লায় অ’ত্যাচার। এসময় ধ’র্ষিতা চি’ৎকার করলে মোস্তফা তার মামাকে টেলিভিশনের ভলিয়ম বাড়িয়ে দিতে বলে। ধ’র্ষিতাকে নানা ভ’য় দেখিয়ে চলতে থাকে পা’শবি’কতা।এ সময় আরো একজন উপস্থিত হয় এতে অংশগ্রহন করতে। কিন্তু মেয়েটি কা’ন্না করে ক্ষমা চাওয়ায় বেচে যায় তার হাত থেকে। পরে স্থানীয়রা বি’ষয়টি টের পেয়ে সাগরদিঘি পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রে জানালে স্থানীয় লোকজনসহ পুলিশ তাদের আ’টক করেন।

এ বি’ষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম স’রকার পিপিএম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মা’মলা হয়েছে। অ’ভিযুক্তকে গ্রে’ফতার করে আ’দালতের মাধ্যমে জে’লে পাঠানো হয়েছে এবং ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।