পিয়াসা জানালো নুসরাত কিভাবে মুনিয়াকে তার হাতে তুলে দিয়েছিল

| আপডেট :  ৮ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:৫১ অপরাহ্ণ

দুই দিনের রি’মান্ড শেষে মুনিয়া হ’’ত্যা ও ধ”ণ মা’মলার অন্যতম আ’সামি পিয়াসা মাহবুবকে কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে, দুই দিনে পিবিআই তাঁকে জি’জ্ঞাসাবাদ করেছে। পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, জি’জ্ঞাসাবাদে পিবিআইকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পিয়াসা মাহবুব।

সম্প্রতি, বারিধারায় তার বাড়ি থেকে পিয়াসাকে আ’টক করা হয়েছিল মা’দক এবং অ’বৈধ অ’স্ত্র রাখার অ’ভিযোগে। সেই অ’ভিযোগে তার বি’রুদ্ধে একাধিক মা’মলা বিচারাধীন আছে। এর মধ্যে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া একটি হ’’ত্যা এবং ধ”ণের মা’মলা করেছেন। সেই মা’মলার একজন আ’সামি পিয়াসা মাহবুব। কিন্তু পিয়াসা মাহবুব পিবিআইকে বলেছে উল্টা কথা।

পিয়াসা মাহবুব জানিয়েছে যে, এক সন্ধ্যায় নুসরাত জাহান তাকে টেলিফোন করেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। পিয়াসা মাহবুব তাকে ২ দিন পর সময় দেন। সেখানে নুসরাত জাহান বারিধারায় পিয়াসা মাহবুবের বাড়িতে দেখা করেন।

জি’জ্ঞাসাবাদে পিয়াসা মাহবুব বলেছেন যে, আমি যখন তাকে ডাকলাম তখন তিনি (নুসরাত জাহান) একটি সুন্দরী কি’শোরী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আসলো। এই মেয়েটি তার ছোট বোন বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন। পিয়াসা জানান যে, নুসরাত পিয়াসাকে অনুরোধ করেন যে তার বোন মডেলিং করতে চায়, নাটকে অভিনয় করতে চায়, সিনেমা করতে চায়। কাজে এখানে যদি পিয়াসা মাহবুব একটু সহযোগিতা করেন।

পিয়াসা মাহবুব জানান যে, তিনি চেষ্টা করবেন। এরপর তিনদিন পর নুসরাত জাহান আবার টেলিফোনে পিয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এভাবে কয়েক দফা যোগাযোগের পর একদিন নুসরাতকে তার ছোট বোন সহ আসতে বলেন। তিনি বলেন যে, তার ছোট বোন যেন আধুনিক পোশাক-পরিচ্ছদ পড়ে আসে। কারণ, তার বাসায় একটি ডিজে পার্টি আছে। সেখানে বেশকিছু সিনেমা জগতের এবং বিভিন্ন মহলের লোকজন আসবে। সেখানে যদি কারো মুনিয়াকে পছন্দ হয় তাহলে তার ভাগ্য খুলে যেতে পারে।

এভাবেই পিয়াসার ডিজে পার্টির আসরে নিয়মিতভাবে মুনিয়ার যাতায়াত শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে মুনিয়া একাই আসা শুরু করে। পিয়াসা মাহবুব আরও জানান, দেশে ক’রোনার প্র’কোপ শুরু হওয়ার পর মুনিয়া তাকে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন যে, তার পক্ষে ঢাকায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না, তিনি কুমিল্লা ফিরে যাচ্ছেন। এ জন্য কিছু টাকা চান। পিয়াসা মাহবুব তখন তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।

কিছুদিন পর মুনিয়া আবার ঢাকা আসেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সে সময় পিয়াসা জানান, এখন ক’রোনার সময়, বাড়িতে পার্টি হচ্ছে না। এ জন্য তাকে আপাতত প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন হলে তিনি যোগাযোগ করবেন। এরপর থেকে পিয়াসার সঙ্গে মুনিয়া এবং নুসরাতের কোনো যোগাযোগ হয়নি। জি’জ্ঞাসাবাদে পিয়াসা মাহবুব জানিয়েছেন যে, নুসরাতই মুনিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। মুনিয়া যেন আয় উপার্জন করতে পারে, সংসার চালাতে পারে সে জন্য চেষ্টা তদবির করতে নুসরাত।

পিয়াসা মাহবুব বলেন যে, আমার ধারণা যে মুনিয়ার পয়সায় নুসরাত চলত। এই হ’’ত্যাকাণ্ড বা মৃ’ত্যুর ব্যাপারে পিয়াসা মাহবুব কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, গত ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মুনিয়া বা নুসরাতের কোন যোগাযোগ ছিল না। অন্য আ’সামিদের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ ছিল না বলে পিয়াসা মাহবুব উল্লেখ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পিয়াসা মাহবুব বলেছেন তার মতে মুনিয়াকে আসলে হ’’ত্যা করা হয়নি, মুনিয়া নিজে আত্মহ’’ত্যা করেছেন বলে পিয়াসা মাহবুব মনে করেন। তিনি ত’দন্তকারী কর্মকর্তাদের বলেছেন যে, কিছুদিন ধরেই মুনিয়া আর্থিক সং’কটে ছিলেন এবং বোনের সঙ্গে প্রায়ই তার আর্থিক বি’ষয় নিয়ে ঝ’গড়াঝাঁটি হতো। সুত্রঃ নিউজ২৪