এসপির মৃত্যুর পর রোগীশূন্য সেই হাসপাতাল

| আপডেট :  ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ নভেম্বর ২০২০, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

গতকাল রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালের কর্মীরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজও মিলেছে এই ঘটনার সত্যতা। আর এরপরই রোগীশূন্য হয়ে গেছে হাসপাতালটি।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালটিতে একজনও নেই। এছাড়া হাসপাতালটিতে পাওযায় যায় নি কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকেও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের স্টাফ শারমিন আক্তার বলেন, হাসপাতালটিতে ১৭ জনের মতো রোগী ভর্তি ছিলেন। কিন্তু গতকাল পুলিশ কর্মকর্তা মারা যাওয়ার পর পরই তারা হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এছাড়া পুলিশ ওয়ার্ডবয়দের ধরে নিয়ে গেছে। আর ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা আজ সকালে হাসপাতালে আসেননি।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুলকে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। এরপর প্রথমে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। পরে আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারীকে হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করতে দেখা যায়। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। কিছুক্ষণ পর আনিসুলকে উপুড় করা হয়। এসময় তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ায় একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। এরকিছু সময় পর সাদা অ্যাপ্রোন পড়া এক নারী কক্ষে ঢুকে তার বুকে পাম্প করেন এবং পরপ তাকে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে ‘ব্রট ডেড’ ঘোষণা করে।