তামিমাকে অবৈধ বিয়ে, এবার মুখ খুললেন নাসির

| আপডেট :  ১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:০৫ অপরাহ্ণ

একসময়ে ছিলেন জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার। ছিলেন মিড অর্ডারে ভরসাস্থল। তবে এখন আর সেই ফর্মে নেই নাসির হোসেন। কিন্তু এখনও আলেচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। তবে খেলার জন্য নয় ব্যক্তিজীবন নিয়ে ফের আলোচনায় তিনি।

পিআইবির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তার এবং তামিমা তাম্মির বিয়ে অবৈধ। রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা সুলতানা তাম্মি ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন। এমনকি রাকিব-তামিমার বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথিতে জালিয়াতি করা হয়েছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।

আর এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন নাসির। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের পর একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে নাসির জানান, আমাকে একটু সময় দেন আপনাদের নিজে ফোন দিয়ে সব বলব। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপনার কি মনে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির বলেন, মনে তো অনেক কিছুই হচ্ছে। তবে এখনই আমি কিছু বলবা না। সময় নিয়ে সব বলব।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই দিনই বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। এরপর শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের (২০২১) ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নাসির নিজের কাছে নিয়ে গেছেন। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

প্রসঙ্গত, তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোনও নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জাল জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবে স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।