যে কারণে নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ ঘোষণা করলো পিবিআই

| আপডেট :  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৪৭ অপরাহ্ণ

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এর তদন্ত প্রতিবেদনে অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে নাসির হোসেন এবং তামিমা তাম্মির বিয়ে। সে হিসেবে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী পরিচয় দেয়া তামিমা যে বিয়ে করেছেন সেটি অবৈধ। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

তামিমাকে ফেরত চান রাকিব
এই বিষয়ে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, তালাকের কোনও প্রসেসই মানেননি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও এয়ারলাইন্স কোম্পানি সৌদিয়ার কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী। ফলে এটি অবৈধ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তামিমা আমাদের কাছে দাবি করেছেন তিনি রাকিবকে ডিভোর্স দিয়েছেন। প্রশ্ন আসতে পারে রাকিব কেন মামলা করলেন? তালাকপ্রাপ্ত হয়েছেন কিন্তু তালাক হয়নি এ বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখলাম তালাক হতে গেলে তিনটি শর্ত লাগে। একটি হলো সংশ্লিষ্ট কাজীকে উপস্থাপন করা, দ্বিতীয়ত যিনি তালাকপ্রাপ্ত হবেন অথবা যাকে তালাক দেওয়া হবে তার বাসায় একটি নোটিশ পাঠানো এবং তৃতীয়ত যিনি তালাকপ্রাপ্ত হবেন তার স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি নোটিশ পাঠাতে হবে।

তিনি বলেন, প্রথমটি হলেও দ্বিতীয়তটিতে দাবি করা হয়েছে রাকিব হাসানের বাসায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে তারিখে চিঠিটি রাবিক হাসানের বাসায় প্রসেস করা হয়েছে সেই সময় ওই বাসায় রাকিব তখন থাকতেন না। মানে চিঠিটি প্রসেসর মাস ছয়েক আগে রাকিব অন্য বাসায় ছিলেন। যেই তারিখে চিঠিটি দেখানো হয়েছে সেই সময় ঠিকানাটি ভুল ছিল। অর্থাৎ সেই ঠিকানায় রাকিব থাকতেন না ওই বাসায়। এই প্রসেসটি মানা হয়নি এবং তারা সঠিক কথা বলছেন না।

তিনি বলেন, নাসির ও তামিমা ডাকযোগে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যে চিঠিটি দেখিয়েছেন তা সঠিক দেখাননি। চেয়ারম্যান আমাদেরকে বলেছেন তিনি এমন কোনও চিঠি পাননি। তামিমা যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাতে তালাক দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালে। কিন্তু ২০১৮ সালে পাসপোর্ট রিনিউয়ের সময় স্বামীর নাম রাকিব হাসান দেওয়া হয়। তাহলে বলা যায় বিয়ে চলমান অবস্থায় তালাক দেখানো হয়েছে। নাসিরের উচিত ছিল তামিমা যে তালাকনামাটি দেখিয়েছেন তা সঠিক কি না সেটি যাচাই করা। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তালাকনামাটি জালিয়াতির মাধ্যমে হয়েছে এবং এই জালিয়াতিতে তামিমার মা সুমি আক্তার সহযোগিতা করেছেন।