সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রীয়া

| আপডেট :  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:৫৯ অপরাহ্ণ

মামলার প্রতিবাদে নিজের বাইকে আগুন
রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মামলা দেয়ার প্রস্তুতিকালে ক্ষোভে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন এক বাইকার।
ওই ব্যক্তির নাম শওকত আলম সোহেল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পর তিনি উবারে যাত্রী টেনে সংসার চালাতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে।
মিরাদুল মুনিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর সেটি ভিডিও করে ফেসবুকে শেয়ার করেন। মুহূর্তে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
তিনি লেখেন, ‘মনের কষ্টে নিজের বাইকে আগুন! কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি থাকায় মামলা দেয় পুলিশ। তাই মনের কষ্টে গ্যাসলাইট দিয়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেয় শওকত আলম সোহেল নামে এই হতভাগা আদম। অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ!’

ভিডিওতে দেখা যায়, বাইকে আগুন দিয়ে সোহেল উদভ্রান্তের মতো চিৎকার করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী একজন পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তখন সোহেল এসে তাকেই বাধা দেন। বলেন, ‘কেউ যাবেন না, আপনারা কেউ যাবেন না।’
অন্য একজন সোহেলকে বলেন, ‘ভাই মাথা ঠান্ডা করেন।’

সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রীয়া
Amin Al Rasheed লিখেছেন, করোনা, অর্থনীতি ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকাণ্ডের একটি বড় কেসস্টাডি এই ঘটনা…
F S Juned লিখেছেন, কাগজপত্রের জন্য বিআরটি এ-র দীর্ঘসূত্রিতা, সময়ক্ষেপণ আর এদিকে ট্রাফিক সার্জেন্টরা বিষয়টা বুঝতে চান না। এই অসামঞ্জস্য দূর করা কার দায়িত্ব? আমার নিজেরো নতুন বাইক রেজিষ্ট্রেশনের জন্য বিআরটিএ বরাবরে আবেদন করেছি আজ পুরো ৩০ দিন। এখনো নাম্বার পাইনি, অথচ বিআরটিএ-র নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি প্রদর্শন করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে রেজিস্ট্রার্ড হয়ে যাবার কথা।

Sajid Khan Sojib লিখেছেন, ….. একটা গালিতে পরিনত হয়েছে। কয়েকদিন আগে কক্সবাজার হোটেল থেকে পাশেই একটা হোটেল খুঁজছিলাম নাস্তা করার জন্য। সাথে হেলমেট নেই নি ভাবসিলাম এত দূর থেকে এসেছি ট্যুরিস্ট হিসেবে কিছু বলবেনা। কাগজ সব ঠিকঠাক ছিলো বাইকারের। বুঝিয়ে বলার পরও ৪০০০ টাকার মামলার ভয় দেখালো। পরে কক্সবাজার চার রাস্তার মোরে অফিসার বললো মিচুয়েলে যেতে মানে ৫০০ টাকা দিলাম মামলা দিবেনা। ……. আছে শুধু হয়রানি তে আর পকেট ভারি করার ধান্দাতে। বিশেষ দ্রষ্টব্য ; সেনাবাহিনী ওও বিজিবির দায়িত্বকালে পুরো বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, থানচি সহ কোথাও কোন হয়রানি হইনি।

Md Mohsin Prodhan লিখেছেন, বাইকে আগুন দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আর নিজের টাকায় বাইক কিনলে এন্তত একবারও ভাবতো! অযথা বাইক নিয়ে ঘুরলে তো এমন হবেই। একজন তরুণ শিক্ষার্থীর বাইকের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আর হ্যা ট্রাফিক পুলিশের অযথা হয়রানি আছে তবে নিয়মমাফিক চললে ও লাইসেন্স থাকলে এত জামেলা হওয়ার কথা না।

Sharmin Rima লিখেছেন, ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে মামলা কেন খান? আগে ঐ প্রশ্নের জবাব দিন।
জাকির হোসেন লিখেছেন, over react করা ঠিক হয়নি,
দেখার বিষয় উনি কি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন কিনা।

Mohammad Rashidul Amin লিখেছেন, সাবাস। মটর সাইকেল গেছে সমস্যা নেই। অত্যাচারীদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ হউক এ ভাবেই।
আবিদ আলি হাসান লিখেছেন, প্রায় অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশকেই আমি দেখেছি ওদের ব্যাবহার খুব বাজে। পথচারীদের সাথে খুব একটা ভালো আচরণ করে না। (হয়তো আপনার সাথে ভালো আচরণ করেছে।)
এখন কেউ আবার এই প্রশ্ন করতে পারেন- ওরা দিনভর রাস্তায় থাকে; রোদ বাদলে ভেঁজে ও শুঁকায় তাই মেজাজটা খিটখিটে একটু।
এমন প্রশ্নের উত্তর এভাবে হতে পারেঃ ওরা তো নিজ ইচ্ছায়ই এই চাকরি বেছে নিয়েছে। শপথ গ্রহণ করেছে মানুশের সেবা করবে। তাই খিটখিটে হলেও দেখা আমাদের দায়িত্ব না।
ট্রাফিকে লোক নেয়া দরকার, যারা ধৈর্যশীল এবং সদাচরণ করি।

আমি সৌদি আরবে দেখেছি ট্রাফিক পুলিশদের ধৈর্য্য। হজ্বের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে মানুশ যায় এবং চলাফেরা থাকে অনিয়ম। খুব ধৈর্যের সাথে তারা আঞ্জাম দিয়ে থাকে।
আজকের ফেসবুকে একটি ভিডিও ঘুরছে। একটি লোক তার বাইক আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। কারণে দেখা যায়, গাড়ির কাগজপত্র একটু গড়মিল থাকায় পুলিশে মামলা করে। এর ক্ষোভ ঝেরেই সেই পথচারী গাড়িতে আগুন দেয়।
গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা পর্যন্ত ক্ষোভটা চলে গেছে এর পেছনে হয়ত এমন কারণ থাকতে পারে- লোকটি বুঝিয়ে পুলিশকে বলেছিলো তার কাগজের অসুবিধার কথা কিন্তু পুলিশ বুঝেনি। একতো বুঝেনি দুই মামলা। এ কারণেই হয়ত….
আমিও একদিন গৌরীপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছিলাম। অবশ্য আমার কাগজ ছিলো না। মামলায় পড়েই গিয়েছিলাম প্রায় অতঃপর ছুটেছি অন্য পন্থায়।
সবশেষে, ট্রাফিক ভায়েরা কষ্ট করে তা ঠিক। কিন্তু মানুষের সাথে আচরণে একটু ধৈর্যশীল হলে আরও ভালো হতো।

Imdadul Haque Foyeji লিখেছেন, যখন অতিষ্ঠ হতে হতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়, প্রতিবাদের কোনও ভাষা থাকে না—তখন আর কীইবা করার থাকে!

Diponkar Dipu লিখেছেন, বাইক ড্রাইভিং না জেনেও যে দেশে টাকার বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়,সে দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স মামলা সত্যি হাইস্যকর।এইসব মামলার নতুন নীতিমালা হওয়া উচিত। মামলা দেওয়ার পর রাতে যোগাযোগ করতে বলে, ৩৫০০ টাকট ঘুষ দেওয়ার পর কাগজ ফেরত দেয় এবং বলে পুলিশ আমি টাকা জমা দিয়ে দেব,আপনার যাওয়ার দরকার নাই।

Jahidul Islam লিখেছেন, সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক ভাড়ায় হোন্ডা চালিয়ে জীবন জিবিকা চালায় একটা বাইক চালক তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ৫ টা লোকের জিবীকা আহরন করে।