যে সাজা হতে পারে ইভ্যালির রাসেল-শামীমার

| আপডেট :  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:০৫ অপরাহ্ণ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় আলোচিত দেশের ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।

মামলায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে এক নম্বর আসামি ও চেয়ারম্যান শামীমাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ইভ্যালির আরও বেশকজন কর্মকর্তাকে ‘অজ্ঞাতনামা’ দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে আরিফ বাকের উল্লেখ করেছেন, ইভ্যালির অনলাইন প্লাটফর্মে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পাননি তিনি। নিরুপায় হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন তিনি।

এরই প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে। মামলায় রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো- দণ্ডবিধির ৪২০, ৫০৬ ও ৪০৬ ধারা।

এ বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কে এম সাজ্জাদুল হক শিহাব বলেন, ইভ্যালির সিইও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে সে ধারায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে তাদের।

তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় বলা আছে, প্রতারণা করে সম্পত্তি বা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এ অপরাধে একজন ব্যক্তির সাত বছরের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

৪০৬ ধারায় ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অপরাধে সর্বোচ্চ তিন বছর জেল, অর্থ জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ৫০৬ ধারায় ভিক্টিমকে ‘হ’ত্যা বা আ’ঘাত করার ভ’য়ভীতি’ দেখানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর নির্ধারণ করা আছে।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।