সব
একসময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলো ই-ভ্যালি। তবপ মাত্র কয়েকমাসেই এই চিত্র পাল্টে গিয়েছে। গ্রাহকের সাথে প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।
আর এরপটই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত সেলার ও গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের গ্রেফতারের পর এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত অনেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় তারকা তাহসান আর মিথিলাও।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইভ্যালিকে নিয়ে নতুন করে ব্র্যান্ডিংয়ে কোম্পানিতে যোগ দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত নাম আরিফ আর হোসাইন। পরে তার পরামর্শেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় জুটি তাহসান-মিথিলাকে একই অনুষ্ঠানে হাজির করা হয়। দেশের শীর্ষ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাহসান-মিথিলার ওই অনুষ্ঠান করতে অর্ধকোটি টাকার বেশি খরচ হয় ইভ্যালির। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্ট শাখার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করে দৈনিকটি।
গত ১৫ মে রাত ৯টায় ইভ্যালির ফেইসবুক পেজে একসঙ্গে দেখা যায় বিচ্ছেদের পর আলাদা থাকা মিথিলা ও তাহসানকে। এর আগে এক মধ্যরাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঝড় তোলেন তাহসান। তাহসান তার ভেরিফায়েড পেজে লেখেন, ‘এই শনিবার রাতে তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ রয়েছে।’ তাহসানের এই পোস্টের জবাবে পাল্টা পোস্ট করেন মিথিলা। লেখেন, রিয়েলি!!? সারপ্রাইজের অপেক্ষায় রইলাম।’ ব্যস দুই তারকার অমন স্ট্যাটাসের পর ফেসবুকে লাইভে অংশ নেন তারা।
ইভ্যালির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) আরিফ আর হোসেন তখন জানিয়েছিলেন, তাহসানের পর ইভ্যালির দ্বিতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে যাচ্ছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। সেই উপলক্ষে এই আয়োজন। সঞ্চালকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন তারা। ঈদ, আগামীর পরিকল্পনা, জীবনের নেতিবাচক আর ইতিবাচক অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন। বলতে পারেন এটা একেবারেই এক্সক্লুসিভ একটি সেলিব্রিটি শো।
