সিইও এবং চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের পর ইভ্যালি গ্রাহকদের যে পরামর্শ দিলো বানিজ্য মন্ত্রনালয়

| আপডেট :  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৫৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৫৫ অপরাহ্ণ

গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে একসময়ের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের সর্বাধিক সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে। এরপর থেকেই উৎকন্ঠায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা।

এর প্রেক্ষিতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আজ বুধবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ইভ্যালিসহ অন্যান্য ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা পরিস্থিতি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।

সভায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে দেনা-পাওনার হিসাব দিতে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ইভ্যালিকে মূল্য পরিশোধ করেও যারা পণ্য পাননি কিংবা অন্য অভিযোগ রয়েছে, তাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সভা থেকে।

সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘যদি কোনও গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করেন, তাহলে তার উচিত হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মামলা করা। তাহলে আমরা সিগন্যাল পাব, কী পরিমাণ কাস্টমার প্রতারিত হচ্ছে এবং কী ধরনের সমস্যা, কী ধরনের লায়াবেলিটিস তৈরি হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ইভ্যালি নিয়ে ইতোমধ্যেই ৬ হাজার ৭৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৬১২টি মামলা।

হাফিজুর বলেন, ‘যেসব মার্চেন্ট ইভ্যালিকে পণ্য দিয়েছেন, তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও উচিৎ হবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’