বাবার কাছে জবাব চাইলেন জাপানি নারীর মেয়েরা

| আপডেট :  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক শরীফ ইমরান এবং জাপানি আইন অনুযায়ী নাকানো এরিকোর দাম্পত্য কলহের জেরে তাদের দুই মেয়েকে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাপানি মা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশি বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এসব ঘটনায় মোটেও খুশি নন তাদের মেয়েরা। তবে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকতে চাইছেন না সন্তানরা।

বাবা ইমরান শরীফ দুই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা বলেন, ‘তোমাদের (বাবা-মা) মধ্যে সমস্যা আমরা কী দোষ করেছি? আমাদের কেন এখানে রাখা হচ্ছে? আমাদের আর এখানে ভালো লাগছে না, আমাদের দ্রুত এখান থেকে বের করার চেষ্টা করো।’

মেয়েদের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে ইমরান শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একদম চুপ হয়ে গেছে মেয়েগুলো। তারা এখন কম কথা বলে। এমন পরিস্থিতি দেখে মেয়েগুলো ডিপ্রেশনে চলে গেছে। তারা জানতে চাচ্ছে কখন তাদের বের করে নিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের মা ও আমার মধ্যে সমস্যা আছে তা ঠিক। কিন্তু আমরা কেউ তো বাচ্চাদের কম ভালোবাসি না। তাহলে তারা এখানে থাকবে কেন? ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নারী পুলিশ সদস্যরা অনেক হেল্পফুল হলেও আমার মেয়েদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তারা অনেক হাইজেনিক, এখানে যেভাবে তাদের খাবার দেওয়া হয় তারা এতে খুব ভয় পেয়ে যায়। তারা আর এখন থাকতে চাচ্ছে না।’

প্রসঙ্গত, জাপানি আইন অনুযায়ী নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) বিয়ে করেন। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসে তিন৷ সন্তান। তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর। গত ১৮ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এর পর জল অনেক দূর গড়ায়। দুই মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন শরীফ। পরে ঢাকায় ছুটে আসে তার মা এরিকো। বর্তমানে শিশু দুটির অধিকার নিয়ে চলছে আইনি লড়াই।